কলকাতা: রকেটের গতিতে বদলে যাচ্ছে জলবায়ু। বদলে যাচ্ছে গোটা পৃথিবীর পরিবেশ। জলবায়ু পরিবর্তন যে গতিতে বিশ্বকে গ্রাস করছে, তাতে বলা যায় আগামী কয়েক দশকে বসবাসের উপযোগী মাত্র কয়েকটি শহর বেঁচে থাকে গোটা বিশ্বে। প্রতিটি দেশ নিজ নিজ স্তরে জলবায়ুর এই ভোলবদলের মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারত-পাকিস্তানও তার মধ্যে অন্যতম। উভয় দেশের অনুকূল আবহাওয়া তাদের এ বছর রেকর্ড গম উৎপাদনে সহায়তা করছে। কৃষি বিজ্ঞানীরা অবশ্য বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে প্রতিবেশী দেশগুলির তুলনায় ভারত ভালভাবে প্রস্তুত রয়েছে।
ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী দেশ। এই তালিকায় পাকিস্তান রয়েছে অষ্টম স্থানে। ভারত গম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও পাকিস্তান ২০-৩০ লাখ টন গম আমদানি করে বলে খবর। সূত্রের খবর, পাকিস্তান এখনও দেশীয় চাহিদা মেটাতে আমদানির ওপর নির্ভরশীল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে এর একটি বড় কারণ জলবায়ু-বান্ধব দেশীয় গম উদ্ভাবনে শক্তি হারাচ্ছে ইসলামাবাদ।
বর্তমানে উভয় দেশেই গম কাটার কাজ চলছে। অনুমান করা হচ্ছে, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ভারতে ১১৪ মিলিয়ন টন গম উৎপাদন হবে। যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে বড় রেকর্ড। অন্যদিকে, পাকিস্তান ৩২.২ মিলিয়ন টন উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়েছে। যদিও দুই দেশই ২০১০ সাল থেকে গম চাষ করতে গিয়ে উপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের মুখোমুখি হচ্ছে। কমেছে ফলন। কিন্তু, আশাব্যঞ্জকভাবে এবার জলবায়ু গম চাষের পক্ষে অনেকটাই অনুকূল ছিল। তাতেই হাসি ফুটেছে ভারতীয় গম চাষীদের মুখে। আইসিএআর-আইআইডব্লিউবিআর-এর ডিরেক্টর জ্ঞানেন্দ্র সিং বলছেন, এই বছর আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। জানুয়ারির মাঝামাঝি এবং ফেব্রুয়ারিতে অবাঞ্ছিত তাপপ্রবাহের ঘটনা দেখা যায়নি। অকাল বৃষ্টিও বিশেষ হয়নি। তাই আমরা বিপুল ফলনের আশা করছি।