কলকাতা: গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে বুল রান দেখা যাচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতিতে (Indian Economy)। পিছনে পিছনে তাবড় তাবড় সব প্রথম বিশ্বের দেশ। এরইমধ্যে জিএসটি আদয়ের নিরিখেও ঝড় তুলেছে ভারত সরকার। ২০১৭ সালে বড় কর সংস্কার হিসাবে দেশে ‘পণ্য ও পরিষেবা কর’ (জিএসটি) ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছিল। কিন্তু, আদৌও এই ব্যবস্থা কতটা কার্যকর হবে, বা কতটা লাভজনক হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সেই সময়। কিন্তু ৭ বছরেরও কম সময়ে, GST আদায় পরোক্ষ কর সংগ্রহের অনেক পুরনো রেকর্ডই ভেঙে দিয়েছে। তৈরি হয়েছে নিত্যনতুন রেকর্ড। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে ছুঁয়ে ফেলেছে ১.৭৮ লক্ষ কোটির গণ্ডি। আয়ের যে অনুমান করেছিল সরকার তাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে এই অঙ্ক। তা নিয়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে প্রশাসনিক মহলের অন্দরে।
২০১৬ সালের নোট বাতিলের পরপরই দেশে জিএসটি শুরু হয়েছিল। এটা যে দেশের অর্থনীতির জন্য যুগান্তকারী পরিবর্তন ছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে এরইমধ্যে আবার গোটা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও থাবা বসিয়েছিল করোনা মহামারি। করোনাকালের মন্দার গ্রাসের করার ছায়া পড়েছিল দেশেও। টালমাটাল হয়ে গিয়েছিল অর্থনীতি। কিন্তু, করোনা পরবর্তী পর্যায়ে দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের অর্থনীতি। শুধু ঘুরেই দাঁড়ায়নি একেবারে বুল রান দেখা গিয়েছে। ভারতীয় অর্থনীতির শ্রীবৃদ্ধি দেখে চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছে বিশ্বের একের পর এক শক্তিধর দেশের।
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) এর চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার আগরওয়াল বুধবার জানান ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে পরোক্ষ কর সংগ্রহের মাত্রা অনেকটাই বেড়েছে। ১৪.৮৪ লক্ষ কোটির যে অনুমান করা হয়েছিল তাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। এর জন্য তিনি সিবিআইসি-র আঞ্চলিক কর্তাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। দলগতভাবে এই সাফল্য অর্জনের জন্য সকলের প্রশংসাও করেছেন।
CBIC প্রধান সঞ্জয় কুমার আগরওয়াল জানান, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে, দেশে GST থেকে ২০.১৮ লক্ষ কোটি টাকার মোট কর সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি আগের অর্থবছরের কর সংগ্রহের চেয়ে ১১.৭ শতাংশ বেশি। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সেখানে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১৯.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা করেছিল সরকার। যেখানে জিএসটি, শুল্ক এবং আবগারি শুল্ক সহ পরোক্ষ করের লক্ষ্যমাত্রা ১৪.৮৪ লক্ষ কোটি টাকায় কমিয়ে আনা হয়।