নয়া দিল্লি: ভারত ২০২৪ পর্যন্ত থার্মল পাওয়ার (thermal power) উৎপাদনের জন্য কয়লার ব্যাপারে আত্মনির্ভরতা হয়ে যাবে এ কথা জানিয়েছেন কয়লা সচিব (Coal Secy) অনিল কুমার জৈন। কয়লা সচিব আজ কোল ইন্ডিয়ার সহযোগী ওয়েস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেডের (WCL) একটি সমীক্ষা বৈঠক করেন। এর সঙ্গেই তিনি বলেন যে আগামি বছর বিদু্তের চাহিদায় গতি বৃদ্ধি দেখতে পাওয়া যাবে। তবে ঘরোয়া কয়লা উৎপাদন বাড়ায় চাহিদার অধিকাংশ অংশ পূরণ করা যাবে। অন্যদিকে আগামি বছরে থার্মল পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রয়োজনের সম্পূর্ণ কয়লা ঘরোয়া উৎপাদনের মাধ্যমে করা য়াবে। এছাড়াও দেশে কয়লা উৎপাদন জানুয়ারি ২০২২ এ ৬.১৩ শতাংশ বেড়ে ৭.৯৫ কোটি টনে পৌঁছেছে।
বাড়বে কয়লার উৎপাদন
অনিল জৈন আরও বলেন যে ঘরোয়া স্তরে কয়লার উৎপাদন ১০ শতাংশ বাড়বে আর ২০২৪ পর্যন্ত তাপবিদ্যুৎের জন্য এই শুষ্ক ইন্ধনের আমদানির প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে। এই বৈঠকে ডব্লিউসিএলের চেয়ারম্যান আর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনোজ কুমার, কোম্পানির ডিরেক্টর, মুখ্য সতর্কতা আধিকারিক আৎ অন্যান্য সিনিয়র আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। অনিল জৈন জানান যে ২০২৪ পর্যন্ত তাপ বিদ্যুতের জন্য কয়লা আমদানি করার প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে। বর্তমানে তাপবিদ্যুত কেন্দ্রগুলির জন্য ৯ কোটি টন কয়লা আমদানি করা হয়। এমন আশা করা হচ্ছে যে এই বছর এর মধ্যে ৬ থেকে ৭ কোটি টন কয়লা আমরা ঘরোয়া স্তরেই পেয়ে যাব। তিনি আরও বলেন যে ২০২৩ এ তাপ বিদ্যুতের জন্য কয়লা আমদানির প্রয়োজন যথেষ্ট সীমিত হয়ে যাবে। আর আগামি বছর বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
জানুয়ারিতে ৬ শতাংশ বেড়েছে কয়লার উৎপাদন
দেশে কয়লা উৎপাদন জানুয়ারি ২০২২ এ ৬.১৩ শতাংশ বেড়ে ৭.৯৫ কোটি টনে পৌঁছে গিয়েছে। সরকার সোমবারই এই তথ্য জানিয়েছিল। দেশে জানুয়ারি ২০২০-তে কয়লা উৎপাদন হয়েছিল ৭.৫ কোটি টন। কয়লা মন্ত্রক একটি বয়ানে জানিয়েছিল,’ জানুয়ারি ২০২২এ জানুয়ারি ২০২০র তুলনায় দেশে কয়লা উৎপাদন ৬য়১৩ শতাংশ বেড়ে ৭.৯৬ কোটি টনে পৌঁছে গিয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে অর্থবর্ষ ২০২০-২১কে অস্বাভাবিক মানা হয়েছে। এই কারণে অর্থবর্ষ ২০২২ এর কয়লা উৎপাদনের তুলনা অর্থবর্ষ ২০১৯-২০-র সঙ্গে করা হয়েছে।’ কয়লামন্ত্রকের শেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড এই বছর জানুয়ারি মাসে ৬.৪৫ কোটি কয়লা উৎপাদন করে ২.৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি হাসিল করেছে। গত সপ্তাহে কয়লামন্ত্রক একটি বয়ানে বলেছিল, ‘সরকার দেশে কয়লার উৎপাদন আরও বাড়াতে যথাসম্ভব প্রচেষ্টা করছে। অতিরিক্ত কয়লার উৎপাদনে জীবাশ্ম ইন্ধন আমদানি কম হয়ে যাবে।’ কয়লা ক্ষেত্রের উন্নতিতে ইন্ধনের ঘরোয়া উৎপাদন ৯.০১ শতাংশ বেড়েছে। সবমিলিয়ে চলতি অর্থবর্ষে নভেম্বর পর্যন্ত কয়লার উৎপাদন বেড়ে ৪৪.৭৫৪ কোটি টন হয়ে গিয়েছে যা ২০১৯-২০ এই সময়সীমায় ছিল ৪১.০৫৫ কোটি টন।
আরও পড়ুন: ABG Shipyard: ৯৮টি সহযোগী কোম্পানিতে অর্থ লগ্নি,সবচেয়ে বড় ব্যঙ্ক প্রতারণা কাণ্ডে নতুন খোলসা