নয়া দিল্লি: দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারিতে একের পর এক নতুন তথ্য সামনে আসছে। ইটি নাউয়ের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, সিবিআইয়ের একটি সূত্র জানিয়েছেন যে এবিজি শিপইয়ার্ড ৯৮টি সহযোগী কোম্পানিতে অর্থ ঢেলেছিল। ১২ ফেব্রুয়ারি সিবিআই দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক প্রতারণার মামলায় এই কোম্পানি এবং তার তৎকালীন সভাপতি এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টার ঋষি কমলেশ আগরওয়াল সহ বেশকিছু জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। অন্যদিকে গতকালই অর্থমন্ত্রী একটি বয়ান দিয়েছিলেন যে এবিজি শিপইয়ার্ডের অ্যাকাউন্ট গত সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট সরকার এনপিএ ঘোষিত করেছিল। এই মামলাটি ২২ হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রতারণার সঙ্গে সম্পর্কিত যা এখনও পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক প্রতারণা হিসেবে উঠে আসছে।
নতুন কী খোলসা হল
সিবিআইয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে যে এবিজি শিপইয়ার্ড ৯৮টি সহযোগী কোম্পানিতে অর্থ লগ্নী করেছিল। সিবিআইয়ের সূত্র আরও জানিয়েছে যে বর্তমানে সমস্ত তথ্যকে এক জায়গায় নিয়ে আসা হচ্ছে আর তা নিয়ে সঠিকভাবে কাজ করা হচ্ছে। আদালতে কেস ফাইল করার আগে নিজেদের পক্ষ মজবুত করার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে, যাতে তারা মামলার শুনানি চলাকালীন নিজেদের পক্ষকে শক্তিশালীভাবে পেশ করতে পারে।
সিবিআই আধিকারিকেরা শনিবার জানিয়েছিলেন যেভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বে ব্যাঙ্কগুলির একটি অ্যাসোসিয়েশন কথিতভাবে ২২,৮৪২ কোটি টাকার বেশি প্রতারণার এই মামলা দায়ের করেছিল। সিবিআই ঋষি কমলেশ আগরওয়াল ছাড়াও কোম্পানির তৎকালীন কার্যনির্বাহী ডিরেক্টর সংস্থানম মুথাস্বামী, ডিরেক্টর- অশ্বিনী কুমার, সুশীল কুমার আগরওয়াল আর রবি বিমল নেওটিয়া এবং অন্য একটি কোম্পানি এবিজি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধেও কথিতভাবে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, অপরাধমূলক বিশ্বাসঘাতকতা আর ক্ষমতার অপব্যবহারের মতো অপরাধের মামলা দায়ের করেছে। সিবিআইয়ের বক্তব্য অনুযায়ী এদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি আর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মোকদ্দমা চালানো হবে।
পুরো বিষয়টি কী
১৯৮৫ সালের ১৫ মার্চ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল এবিজি শিপইয়ার্ডের। স্টেট ব্যাঙ্কের তরফে প্রকাশিত বয়ান অনুযায়ী, ২০০১ সাল থেকে এই কোম্পানি ব্যাঙ্কিং অ্যারেঞ্জমেন্টের অন্তর্গত ছিল। দুর্বল প্রদর্শনের কারমে ৩০ নভেম্বর ২০১৩য় এই কোম্পানির অ্যাকাউন্ট এনপিএ হয়ে যায়। তারপর এই কোম্পানির কাজকর্মকে আবারও স্বাভাবিক অবস্থায় আনার প্রচেষ্টা করা হয়। কিন্তু তা সফল হয়নি। মার্চ ২০১৪য় ব্যাঙ্কগুলির কন্সোর্টিয়ামের তরফে অ্যাকাউন্ট রিস্ট্রাকচার করা হয়। সেই সময় শিপি শিল্প খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। এটাই কারণ যে সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এই কোম্পানির কাজকর্মকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়নি। জুলাই ২০১৬য় এবিজি শিপইয়ার্ডের অ্যাকাউন্টকে ব্যাকডেটে (নভেম্বর ২০১৩) এনপিএ ঘোষিত করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Edible Oil Price: আগামি দিনে সস্তা হতে চলেছে ভোজ্য তেল, জানুন কত কমবে দাম