নয়া দিল্লি: আপনার রান্নাঘরে ব্যবহৃত হওয়া ভোজ্য তেল (Edible Oil) দ্রুতই সস্তা হতে পারে। এর পেছনের কারণ হল সরকার বর্তমানে অপরিশোধিত পাম তেলের উপর অন্তঃশুল্ক অর্থাৎ কাস্টম ডিউটি কমিয়ে দিয়েছে। অপরিশোধিত পাম তেলের উপর এখন ৭.৫ শতাংশের জায়গায় মাত্র ৫ শতাংশ সেস (Cess) দিতে হবে। যার ফলে অন্তঃশুল্ক এখন ৮.২৫ শতাংশ থেকে কমে ৫.৫ শতাংশ হবে। এই ছাড়ের ফলে পাম তেলের দাম প্রতি কুইন্টাল ২৮০ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে। এর ফলে পরিস্কার যে পাম তেলের দাম কমলে ভোজ্য তেলও সস্তা হয়ে যাবে। কারণ ভোজ্য তেল তৈরিতে পাম তেল ব্যবহার করা হয়। প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরেই পাম তেলে বৃদ্ধি পাওয়া খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল।
এর আগে অক্টোবর ২০২১ এও সরকার ভোজ্য তেলের আমদানি শুল্ক কমিয়েছিল। আর কোম্পানিগুলিও ভোজ্য তেলের দাম ৮ থেকে ১২ টাকা প্রতি কেজি পর্যন্ত কম করেছিল। অর্থবর্ষ ২০২০-২১ এ ভারতে ৮.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন পাল তেলের ব্যবহার নথিভুক্ত হয়েছিল। অন্যদিকে অর্থবর্ষ ২০১১-১২য় ৮ থেকে ৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন পাম তেলের ব্যবহার করা হত।
দেশে প্রত্যেক বছর ২.৫ কোটি টন ভোজ্য তেলের চাহিদা
এমনটা মনে করা হয় যে একজন ভারতীয় বছরে প্রায় ১৯ কেজি ভোজ্য তেলের ব্যবহার করেন। দেশে যতটা ভোজ্য তেল ব্যবহৃত হয়, তাতে ৮৬ শতাংশ অংশ রয়েছে সোয়াবিন আর পাম তেলের। একটি অনুমান অনুযায়ী, দেশে প্রত্যেক বছর ২.৫ কোটি টন ভোজ্য তেলের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু দেশে মাত্র ১.০৫ কোটি টন খাদ্য তেলই তৈরি করা হয়। বাকি থাকা ৬০ শতাংশ প্রয়োজনীয় তেল ভারত আমদানি করার মাধ্যমে পূরণ করে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাম তেল উৎপাদক দেশ হল মালেশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া। ভারতেও এই দেশগুলি থেকে অপরিশোধিত পাম তেল আমদানি করা হয়।
প্রসঙ্গত ভোজ্য তেল আর তৈলবীজের দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কেন্দ্র সরকার রাজ্যগুলির কাছে এই পণ্যগুলির উপর মজুত সীমার নির্দেশ চালু করতে বলেছে। কেন্দ্র রাজ্য সরকারগুলিকে বলেছে যে সরবরাহ এবং ব্যবসাকে সমস্যায় না ফেলেই এই আদেশ চালু করুক। কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রালয় গত তিন ফেব্রুয়ারি ভোজ্য তেল আর তৈলবীজের উপর মজুত সীমাকে তিন মাসের জন্য অর্থাৎ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর আদেশ দিয়েছিল। এই আদেশে মজুত সীমারও উল্লেখ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Retail Sales: করোনার বিধিনিষেধের প্রভাবে জানুয়ারিতে খুচরো বিক্রিতে ব্যাপক লোকসান