নয়া দিল্লি: করোনা ভাইরাম মহামারীর তৃতীয় ঢেউয়ের কারণে বেশকিছু রাজ্য থাকা বিধিনিষেধের কারণে দেশে জানুয়ারি ২০২২ এ খুচরো বিক্রিতে প্রভাব পড়েছে। রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (Retailers Association of India (RAI)) মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে। আরএআই নিজেদের সাম্প্রতিক ব্যবসায়িক সমীক্ষায় জানিয়েছে যে গত মাসে খুচরো বিক্রি জানুয়ারি ২০১৯ এর মহামারী পূর্ব বিক্রির সীমার সঙ্গে সঙ্গে জানুয়ারি ২০২০-র ৯১ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। অঞ্চলভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পূর্বাঞ্চলে গত মাসে, জানুয়ারি ২০১৯ এর তুলনায় খুচরো বিক্রি ১৩ শতাংশ কমেছে। এরপর পশ্চিমাঞ্চলে ১১ শতাংশে আর উত্তরাঞ্চলে ৮ শতাংশ কমতে দেখা দিয়েছে। আরএআই জানিয়েছে যে দক্ষিণাঞ্চল সবচেয়ে কম প্রভাবিত হয়েছে আর জানুয়ারি ২০২২ এ এই অঞ্চলে খুচরো বিক্রি ২ শতাংশ কমেছে।
ক্যাটাগরি অনুযায়ী, সৌন্দর্য, কল্যাণ আর ব্যক্তিগত দেখভাল (Beauty, wellness and personal care) এর ক্ষেত্রে খুচরো বিক্রি সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে। এর মধ্যে খুচরো বিক্রি গত মাসে, জানুয়ারি ২০১৯ এর তুলনায় ২৪ শতাংশ কমেছে। এরপর ফার্নিচার আর ফার্নিশিংয়ে ১২ শতাংশ আর পরিধান এবং কাপড়ের ক্ষেত্রে সাত শতাংশ খুচরো বিক্রি কমেছে।
জুয়েলারি সেগমেন্টে বিক্রি বেড়েছে ১১ শতাংশ
অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০১৯ এ এই মাসের তুলানয় এই বছর জানুয়ারি মাসে অলঙ্কার ক্যাটাগরিতে ( jewellery segment) খুচরো বিক্রি ১১ শতাংশ বেড়েছে আর দ্রুতগতিতে পরিষেবা দেওয়া রেস্তোরাঁগুলির খুচরো বিক্রিতেও ৯ শতাংশ বৃদ্ধি দেখতে পাওয়া গেছে।
দিল্লি, হরিয়ানা বাদে বেশিরভাগ রাজ্যে খোলা ছাড়
রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিইও কুমার রাজাগোপালন বলেছেন যে বেশিরভাগ রাজ্যগুলি খুচরো ব্যবসাকে খোলা ছাড় দিয়েছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ দুর্বল হয়ে পড়েছে। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা লাগাতার কমছে। তবে, দিল্লি, হরিয়ানাতে এখনও খুচরো দোকান বেশি রাত পর্যন্ত খুলছে না। যার খারাপ প্রভাব পড়েছে ব্যবসায়। রাজাগোপালন বলেছেন যে দিল্লি আর হরিয়ানা সরকার, মহারাষ্ট্রের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে সমস্ত খুচরো বিক্রেতাদের বেশি রাত পর্যন্ত দোকান খোলার অনুমতি দিক।
করোনার মাত্র ৪ শতাংশ রোগি
দেশের রাজধানী দিল্লিতে করোনার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা লাগাতার কমছে আর পজিটিভিটির হারও গত চার-পাঁচদিন ধরে পাঁচ শতাংশের নীচে রয়েছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কম হওয়ার মধ্যে এখন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যাও কমেছে। দিল্লির হাসপাতালে এখন করোনার মাত্র চার শতাংশ রোগিই রয়েছেন। দিল্লির স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট বেডের ৯৬ শতাংশ খালি রয়েছে। এই বেড করোনা রোগিদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছিল। বর্তমানে এই বেডগুলিতে কোনো রোগি ভর্তি নেই। যে চার শতাংশ রোগি হাসপাতালে রয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ সেই রোগিরা রয়েছেন যাদের কোনো গুরুতর অসুস্থতা রয়েছে। এরা তেমন রোগি, যারা কোনো অপারেশন বা রুটিন পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন আর পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Gold Price Today: আবারও রেকর্ড স্তরে সোনা! ৭দিনে ২২০০ টাকা বেড়ে ৫০ হাজার ছাড়াল সোনালি ধাতু