নয়া দিল্লি: দেশের একটা বড় অংশের মানুষই দূরপাল্লার যাত্রার জন্য ভরসা রাখেন ভারতীয় রেলের উপরে। পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ- দেশের সমস্ত প্রান্তকেই এক সূত্রে বেঁধেছে ভারতীয় রেলওয়ে। বিভিন্ন রুটের যেমন আলাদা আলাদা ট্রেন হয়, তেমনই যাত্রীদের ধরনও আলাদা হয়। অনেকেই তীর্থযাত্রা বা ঘুরতে যান দূরপাল্লার ট্রেনে, একটি নির্দিষ্ট সময় কাটানোর পর তারা ফের যাত্রার সূচনাস্থলেই ফিরে আসেন। অর্থাৎ হাওড়া থেকে কেউ প্রথমে দিল্লি, তারপর জয়পুর যাচ্ছেন। আবার ফিরবেনও সেই রুটে। এক্ষেত্রে প্রত্য়েকটি গন্তব্যের জন্য আলাদাভাবে টিকিট কাটতে হয়। বারংবার এই টিকিট কাটার ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতেই ভারতীয় রেলওয়ের তরফে আনা হয়েছে সার্কুলার জার্নি টিকিট। এই টিকিটে আপনি সর্বোচ্চ আটটি স্টপেজ মিলিয়ে একটি টিকিট কাটতে পারেন। অর্থাৎ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার জন্য আলাদা করে টিকিট কাটার প্রয়োজন পড়বে না।
মূলত পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের জন্য়ই ভারতীয় রেলওয়ের তরফে সার্কুলার জার্নি টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই টিকিটের বিশেষত্ব হল এই টিকিটের ক্ষেত্রে সময়ের নমনীয়তা বা ছাড় থাকে। সর্বোচ্চ আটটি স্টপেজে আপনি ওঠা-নামা করতে পারবেন একটি টিকিটেই।
প্রত্য়েকটি জোনাল রেলওয়ে থেকে এই টিকিট পাওয়া যায়। ভাড়া, রুটের বিস্তারিত তথ্যও জোনাল রেলওয়ের দফতর থেকেই পাওয়া যায়। এছাড়া আপনি যদি জোনাল রেলওয়ের অফিসে নিজের ভ্রমণের পরিকল্পনা জানান, তবে আপনার সুবিধা অনুযায়ীও সার্কুলার জার্নি টিকিট কাটা যায়। ফার্স্ট ক্লাস থেকে স্লিপার ক্লাস-সমস্ত শ্রেণিতেই এই সুবিধা পাওয়া যায়। যেই স্টেশন থেকে আপনি যাত্রা শুরু করবেন, সেই স্টেশনই আপনার শেষ গন্তব্য হবে।
সার্কুলার জার্নির টিকিট আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট থেকেই কাটা যায়। সার্কুলার জার্নি টিকিটের ভাড়াও তুলনামূলকভাবে কম হয়। এছাড়া প্রবীণ নাগরিক (পুরুষ)-দের জন্য ৪০ শতাংশ ও প্রবীণ নাগরিক (মহিলা)-দের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যায়। সার্কুলার জার্নিতে ন্যূনতম দূরত্ব ১ হাজার কিলোমিটার হতে হবে।