শেয়ার বাজারের পাশাপাশি বর্তমানে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ঝোঁক বেড়েছে একটা বড় অংশের বিনিয়োগকারীদের। স্মল ক্যাপ থেকে লার্জ ক্যাপ, প্রায় সব ধরনের ফান্ডের জনপ্রিয়তাই বিগত কয়েক বছরে বেড়ে গিয়েছে। কোন ফান্ড ভাল, কোন ফান্ডে সহজেই মিলবে বড় রিটার্ন এসব জানতেও অন্তার্জালের দুনিয়ায় খোঁজ চালান বহু মানুষই। কিন্তু, ভারতীয় বাজারে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ কতটা নিরাপদ? এই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করে অনেকের মনেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের থেকে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। ঝুঁকিও অনেকটাই কম। তবে বিনিয়োগ শুরুর আগে খেয়াল রাখতে হবে কয়েকটা বিষয়ে।
বাজারের ঝুঁকি
মিউচুয়াল ফান্ডগুলি স্টক, বন্ড এবং অন্যান্য সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করে। এই সিকিউরিটিগুলির মূল্য বাজারের অবস্থার উপর নির্ভর করে ওঠানামা করতে পারে। বাজারের অবস্থা খারাপ হলে মিউচুয়াল ফান্ডের বাজার মূল্যও কমে যেতে পারে। তাই ঝুঁকি যে একদমই নেই এমনটা নয়।
ফান্ড ম্যানেজারের ভূমিকা
ফান্ড ম্যানেজাররাই মূলত মিউচুয়াল ফান্ডগুলি নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। ফান্ড ম্যানেজাররা যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নেন না, তাহলে ফান্ডের রিটার্ন কম হতে পারে বা এমনকি ক্ষতিও হতে পারে। বেচা-কেনার ঝুঁকি মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনা এবং বিক্রি করার সময় চার্জ এবং লেনদেন খরচ হতে পারে। এই খরচগুলি ফান্ডের রিটার্নকে কমিয়ে দিতে পারে। তাই কোন ফান্ডে কর সংক্রান্ত বিষয়ে আগাম কী শর্ত দেওয়া হচ্ছে, চার্জের বিষয়ে কী বলা হচ্ছে তা আগে থেকে ভাল করে পড়ে নেওয়াই শ্রেয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
সেবির ভূমিকা
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI) মিউচুয়াল ফান্ডগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে। বিনিয়োগের সঠিক নীতি, নির্দেশিকা মেনে পুরো কাজটা চলছে কিনা সেই দিকগুলিও দেখে সেবি। তাই এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যে সর্বদাই সেবির কড়া নজরদারির আওতায় থাকতে হয় ফান্ডগুলিকে। তাই কোনওরকম জালিয়াতি বা প্রতারণার ঝুঁকি অনেকটাই কম বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
অল্প টাকাতেই শুরু করতে পারেন বিনিয়োগ
আপনি চাইলে ১০০ টাকা থেকে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করে শুরু করতে পারেন মিউচিয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ। স্মল থেকে লার্জ ক্যাপ, ফান্ডের আকার অনুযায়ী রয়েছে একাধিক SIP. একাধিক বিনিয়োগ নির্ভর অ্যাপ থেকে সহজেই চালু করা যায় এই এসআইপিগুলি।
বিঃ দ্রঃ – এটি একটি শেয়ার বাজার এবং বিনিয়োগ সম্পর্কিত শিক্ষামূলক প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কখনই বিনিয়োগে উৎসাহিত করা বা মুনাফা কামানোর সহজ উপায় খুঁজে দেওয়া নয়। শেয়ার বাজারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোই এই প্রতিবেদনের অন্যতম লক্ষ্য। উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ।