সামনেই ডেডলাইন। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের জন্য আয়কর রিটার্ন জমা করতে হবে। তবে আয়কর রিচার্নের সাত ধরনের ফর্ম রয়েছে। আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় আপনার জন্য কোনটি সেটা নিয়ে নিশ্চয় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তাই কোন আয়কর রিটার্ন ফর্ম কার জন্য উপযুক্ত সেই বিষয়ে বিশদে জেনে নিন –
আইটিআর ফর্ম ১ (ITR Form 1):
এই ধরনটি বেতনভুক চাকরিজীবীদের জন্য যাঁদের আয় ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তাছাড়াও অন্যান্য উৎস থেকে আয়ের ক্ষেত্রে যেমন ব্যাঙ্কের আমানত থেকে সুদ, বাড়ি ও কৃষিক্ষেত্র থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় থাকলে এই আইটিআর ফর্ম ১ জমা দাখিল করতে হবে।
আইটিআর ফর্ম ২ (ITR Form 2):
বেতন ৫০ লক্ষের বেশি হলে করদাতাদের আইটিআর-২ জমা করতে হবে। এছাড়াও যেসব করদাতাদের মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ারের মতো বিষয় বিক্রির মাধ্যমে মূলধনী খাতে মুনাফা লাভ হয় তাঁরা এই ফর্ম জমা করবেন। করদাতাদের একটির বেশি বাড়ি থাকলে, বিদেশ থেকে আয় থাকলে, কৃষিক্ষেত্র থেকে আয় ৫ হাজারের বেশি হলে, পেনশন থেকে আয়, লটারি বা রেস থেকে আয় হলে তাঁদের ফর্ম ২-এর মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে হবে।
আইটিআর ফর্ম ৩ (ITR Form 3):
ব্যবসা বা চাকরির মুনাফা বা লাভ থেকে আয় হওয়া ব্যক্তিগত এবং হিন্দু অবিভক্ত পরিবারকে আইটিআর ফর্ম ৩ দাখিল করতে হবে। বছরে ২ কোটির বেশি লেনদেন হলেই আয়কর রিটার্ন জমা করতে হবে।
আইটিআর ফর্ম ৪ (ITR Form 4):
ব্যক্তিগত, কোনও ফার্ম এবং হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের ক্ষেত্রে যাঁদের ব্যবসা বা অন্য কোনও পেশা মারফত আয় হয় তাঁদের ক্ষেত্রে এই ফর্ম প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে আয়কর আইন ১৯৬১ অনুযায়ী, ৪৪এডি, ৪৪এডিএ বা ৪৪এই ধারার আওতায় আয়কর হিসাব করা হয়।
আইটিআর ফর্ম ৫ (ITR Form 5):
বিনিয়োগ তহবিল, ব্যবসায়িক ট্রাস্ট, দেউলিয়া সম্পত্তি, মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি, কৃত্তিম আইনগত ব্যক্তি (AJP), ব্যক্তিদের সংগঠন (AOPs), LLPs এবং সংস্থাগুলিকে আইটিআর ফর্ম ৫ জমা করতে হবে।
আইটিআর ফর্ম ৬ (ITR Form 6):
১১ ধারার আওতায় যে সংস্থাগুলি রেজিস্টার করা তারা ছাড়া বাকি সংস্থাগুলি ফর্ম ৬-এর মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারে। ইলেক্ট্রনিক্যালি এই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
আইটিআর ফর্ম ৭ (ITR Form 7):
যে ব্যক্তি এবং সংস্থাগুলি ১৩৯(৪এ), ১৩৯(৪বি), ১৩৯(৪সি) বা ১৩৯(৪ডি) ধারার আওতায় আয়কর রিটার্ন ফাইল করেন, তাঁদের আইটিআর ফর্ম ৭ ব্যবহার করতে হবে।