নয়া দিল্লি: উত্তর ভারত জুড়ে গত কয়েকদিন ধরে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা পড়েছে। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে আগুন জ্বালানো অত্যন্ত সাধারণ বিষয়। গ্রাম-শহর নির্বিশেষে, ভারতে, বিশেষ করে উত্তর ভারতে বহু মানুষকেই আগুন পোহাতে দেখা যায়। কিন্তু ট্রেনের কামরার ভিতরে ঘুঁটে জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন উত্তর প্রদেশের ফরিদাবাদের বাসিন্দা চন্দন কুমার ও দেবেন্দ্র সিং। দুজনেরই জায়গা হয়েছে হাজতে। সম্পর্ক ক্রান্তি ট্রেনের ভিতর তাঁরা আগুন জ্বালতেই, আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল রেলকর্মীদের মধ্যে। সঙ্গে সঙ্গে রেলপুলিশকে ডেকে তাঁদের ধরিয়ে দেন রেলকর্মীরা। তাঁদের আলিগড় স্টেশনে ট্রেন থেকে নামিয়ে গ্রেফতার করা হয়। আসলে, ভারতীয় রেলের নিয়ম অনুযায়ী কোনও দাহ্য পদার্থ নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করা আইনত অপরাধ। তবে শুধু ঘুটের মতো দাহ্য পদার্থ নয়, আরও বেশ কয়েকটি জিনিস নিয়ে ট্রেনে ওঠা নিষিদ্ধ। এগুলি নিয়ে ট্রেনের ভিতর ধরা পড়লে কিন্তু, আপনারও জেল হতে পারে।
কী কী জিনিস নিষিদ্ধ?
ট্রেনে যে যে জিনিসগিুলি নিয়ে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারতীয় রেল, তার মধ্যে রয়েছে – ওভেন, গ্যাস সিলিন্ডার, যে কোনও ধরনের দাহ্য রাসায়নিক, আতশবাজি, অ্যাসিড, শুকনো বা ভেজা চামড়া, দুর্গন্ধযুক্ত জিনিসপত্র, গ্রিস, ঘি ইত্যাদি। এই জিনিসগুলির পাত্র ভেঙ্গে গেলে বা ফুটো হয়ে গেলে সহযাত্রীদের চরম অসুবিধা হতে পারে।
জেল ও জরিমানা
উপরে উল্লেখ করা জিনিসগুলি ট্রেন যাত্রার সময় বহন করা অপরাধ বলে ধরা হয়। ফলে, আপনি যদি এই জিনিসগুলির যে কোনোটি নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করতে গিয়ে ধরা পড়েন, সেই ক্ষেত্রে রেলওয়ে আইনের ১৬৪ নম্বর ধারায় আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে রেল কর্তৃপক্ষ। এই বিধান অনুযায়ী, ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা ৩ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দুই শাস্তিই একসঙ্গে দেওয়া হতে পারে।
শর্তাধীন অনুমতি
তবে, ট্রেনে ভ্রমণের সময় রেলওয়ের ব্রেক ভ্যানে বুকিং করে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়া যায়। ব্রেকভান হল একটি আলাদা কোচ, যেখানে বুক করা লাগেজ নিরাপদে বহন করা যায়। তবে, গ্যাসের সিলিন্ডারটি খালি হওয়া চাই। এছাড়া, রেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্রেক ভ্যানে ২০ কেজি পর্যন্ত ঘি-ও বহন করা যায়।