টাকা। শব্দটা দুই অক্ষরের হালকা মনে হলেও এর গুরুত্ব যথেষ্ট গভীর। ডলারের নিরিখে টাকার দাম পড়লেও এর বাজার দর খুব গরম। কারণ এটা ছাড়া তো মানুষের দৈনন্দিন যাপনই হয় না। মানুষের হাতে টাকা না থাকলে কী অবস্থা হয় তা আগেই টের পেয়েছে দেশবাসী। বর্তমানে ডিজিটাল যুগেও তার মূল্য আন্দাজ করা কঠিন নয়। নোটবন্দির সময় মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে হাতে টাকা ছাড়া মানুষ কতটা অসহায়।
ATM-র বাইরে দীর্ঘ লাইন। পুরনো ৫০০ টাকা ও ২০০০ টাকা বদল করার হিড়িক তখন। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে খালি হাতেও ফিরতে হয়েছে নাগরিকদের। নোটবন্দির প্রসঙ্গ উঠতেই প্রশ্ন জাগে, বর্তমানে বাজারে কোন কোন মূল্যের টাকা রয়েছে। কত মূল্যের মুদ্রাই বা লেনদেনযোগ্য। সেই প্রশ্নের উত্তর জেনে নেওয়া যাক।
ভারতে টাকা ও মুদ্রা সরবরাহ করে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। বর্তমানে এই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ২০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও ২০০০ টাকা। বর্তমানে বাজারে সর্বোচ্চ মূল্যের নোট বলতে ২০০০ টাকার নোট রয়েছে। আরবিআই-র ওয়েবসাইট অনুসারে, এখন আর ২ টাকা ও ৫ টাকার নোট ছাপানো হচ্ছে না। তার পরিবর্তে ২ টাকা ও ৫ টাকার মুদ্রা ছাপা হয়। কারণ এই টাকা তৈরিতে যে খরচ হয় তত পরিমাণ খরচের পরও টাকাগুলি টেকসই নয়।
তবে নতুন করে এই নোটগুলি ছাপানো না হলেও পুরনো নোটগুলি বর্তমানে বাজারে চালু রয়েছে। এদিকে ভারত সরকার ১ টাকার নোট বিভিন্ন সময় ছাপিয়ে থাকে। আর বাজারে পুরনো ও নতুন ছাপানো এক টাকার নোটের লেনদেন চালু রয়েছে। আর মুদ্রার মধ্যে ৫০ পয়সা, ১ টাকা, ২ টাকা, ৫ টাকা, ১০ টাকা ও ২০ টাকার মুদ্রার বাজারে প্রচলন রয়েছে।