যদি আপনার জীবন বিমার কোনও পলিসি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে চিন্তার কিছু নেই। কারণ, সেই বন্ধ হয়ে যাওয়া পলিসি চালু করার সুযোগও রয়েছে আপনার হাতে। সেই পলিসি চালু করা খুব একটা কঠিন কাজও হবে না। পলিসি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বন্ধ হয়ে যায়, কারণ, সময়মতো তার প্রিমিয়াম জমা পড়ে না। সেটা আর্থিক কোনও সমস্যার কারণেই মূলত হয়ে থাকে। আর্থিক অবস্থা সবসময় কারও একইরকম থাকবে এমনটা নয়। তবে জীবন বিমার (Life Insurance) প্রিমিয়াম দিতে না পারলে এবং সে কারণে যদি পলিসি বন্ধ হয়ে যায়, তার মানে এমন কখনই নয় যে আর তা চালু করা যাবে না। কারণ বন্ধ পলিসি নতুন করে চালু করার উপায় রয়েছে।
তবে তার জন্য বেশ কিছু শর্ত রয়েছে, যা পূরণ করতে হবে পলিসি হোল্ডারকে। সঙ্গে দিতে হবে লেট ফি (Late Fee)। তারপরই নতুন করে চালু হবে বন্ধ পলিসি। যদি কারও পলিসি এভাবে বন্ধ হয়ে যায়, তাকে পূরণ করতে হবে কয়েকটি ধাপ।
যে কোনও পলিসির ক্ষেত্রেই এটাই নিয়ম, প্রিমিয়াম জমা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট একটা সময় দেওয়া হবে পলিসি হোল্ডারকে। চাইলে কেউ প্রতি মাসে সেই প্রিমিয়াম দিতে পারেন। অনেকে ত্রৈমাসিক প্রিমিয়াম বেছে নেন, অনেকে দেন ৬ মাস অন্তর, কেউ আবার বাৎসরিক প্রিমিয়াম দিয়ে থাকেন। তবে সময় মতো প্রিমিয়াম আপনাকে দিতেই হবে। তা না হলে পলিসি বন্ধ হয়ে যাবে আপনাআপনিই। তবে সেই সংস্থা আপনাকে নির্দিষ্ট শর্ত পূরণের বিনিময়ে ফের সেই পলিসি চালু করতে পারেন। এর জন্য পলিসি সংস্থাগুলি নানারকম প্রচার কর্মসূচিও করে।
নিয়ম অনুযায়ী, যদি ৩ বছর প্রিমিয়াম না জমা দেওয়া হয় তাহলে পলিসি ল্যাপস বলে ঘোষণা করে সংস্থা। পলিসি হোল্ডারকে এ বিষয়ে অবগতও করা হয়। সুযোগ থাকে সেই পলিসি Reopen-এর। তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল, ৫ বছর যদি প্রিমিয়াম না জমা দেওয়া হয়, তবে কিন্তু পলিসি পুরোপুরিই বন্ধ হয়ে যাবে। সেই পলিসি নতুন করে খোলার আর সুযোগ পাওয়া যাবে না।
১. এর জন্য সবার আগে ইনসিওরেন্স কোম্পানির ব্রাঞ্চে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। রিভাইভাল কোট নিতে হবে সংস্থার কাছ থেকে।
২. এই রিভাইভাল কোট হল অবশিষ্ট প্রিমিয়ামের মোট বাকি অঙ্ক।
৩. এবার রিভাইভাল কোটের সঙ্গে রিভাইভাল পেনাল্টিও দিতে হবে।
৪. হেল্থ সার্টিফিকেটও জমা দিতে হবে।
৫. রিভাইভাল পেনাল্টি জমা দেওয়ার সময় ৬৮০ নম্বর ফর্ম ফিলআপ করতে ভুললে চলবে না।
৬. এরপরই ফের চালু হয়ে যাবে বন্ধ পলিসি।
সঙ্গে আইডি কার্ড অবশ্যই যেন থাকে। সঙ্গে ঠিকানার প্রুফও। আরও একটি বিষয়, এই রিভাইভাল অ্যামাউন্ট (Revival Amount) যদি ৫০ হাজার টাকার উপরে হয় তাহলে PAN CARD কপি সঙ্গে রাখতে হবে।