নয়া দিল্লি: কিউআর কোড স্ক্য়ান করে টাকা লেনদেন থেকে শুরু করে কোনও জায়গার ঠিকানা খুঁজে বের করা কিংবা কোনও পণ্যে কী কী উপাদান রয়েছে, যাবতীয় তথ্য বা কাজ এক নিমেষেই হয়ে যায়। এবার এলপিজি সিলিন্ডারের গায়েও থাকবে কিউআর কোড, যা গৃহস্থের বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যবহৃত সিলিন্ডারের গুণমান থেকে শুরু করে সেই সিলিন্ডার কোথায় রয়েছে, সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যই জানা যাবে। রান্নার গ্য়াস বন্টনের পরিষেবাকে আরও সুষ্ঠ করতে এই কিউআর কোডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীই এলপিজি সিলিন্ডারে কিউআর কোড পরিষেবা আনার কথা ঘোষণা করেন। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী টুইটারে বলেন, “জ্বালানিও এবার ট্রেসিং করা যাবে! এক দারুণ উদ্ভাবন- এলপিজি সিলিন্ডারের গায়ে কিউআর কোড দেওয়া ণের থাকবে। সিলিন্ডার চুরি থেকে শুরু করে কোথায় সিলিন্ডার রয়েছে, এইধরনের নানা সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি গ্যাস সিলিন্ডারের আরও ভাল সংরক্ষণের জন্য উন্নত ব্যবস্থা পাওয়া যাবে।”
Fueling Traceability!
A remarkable innovation – this QR Code will be pasted on existing cylinders & welded on new ones – when activated it has the potential to resolve several existing issues of pilferage, tracking & tracing & better inventory management of gas cylinders. pic.twitter.com/7y4Ymsk39K— Hardeep Singh Puri (@HardeepSPuri) November 16, 2022
উত্তর প্রদেশে বিশ্ব এলপিজি সপ্তাহের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সেখানে উপস্থিত আধিকারিকদের সঙ্গে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও তা কতটা গ্রহণযোগ্য, সে বিষয় নিয়ে কথা বলেন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্য়েই কিউআর কোড সহ ২০ হাজার সিলিন্ডার বাজারে আনা হয়েছে। আগামী মাস থেকে সমস্ত ১৪.২ কেজির সিলিন্ডারে এই কিউআর কোড থাকবে। এই কিউআর কোড স্ক্যান করলেই এলপিজি সিলিন্ডারটি কতটা সুরক্ষিত, কবে গ্য়াস ভরা হয়েছে থেকে শুরু করে যাবতীয় তথ্য জানা যাবে। গ্রাহকদের আরও উন্নতমানের পরিষেবা দিতেই এই ব্য়বস্থা আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কিউআর কোড হল মেশিন রিডেবল অপ্টিক্যাল লেবেল, যে পণ্যে এই স্টিকার লাগানো থাকে, তার যাবতীয় তথ্য কিউআর কোড স্ক্যান করলেই জানা যায়।