কলকাতা: শেয়ারে বিনিয়োগ (Share Market Investment) করে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন এখন অনেকেই দেখেন। বিগত কয়েক বছরে ভারতীয় মধ্যবিত্তদের মধ্য় শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের জনপ্রিয়তাও বহু গুণ বেড়েছে। সঙ্গে প্রায়ই বাজারে আসছে মার্কেটের নানা অন্ধকার গলি, কানাগলি উপর তৈরি ছবি। যা বেশ শোরগোলও ফেলছে সিনেপ্রেমীদের মধ্যে। একইসঙ্গে বাজারে রয়েছে নিত্যনতুন সব অ্যাপ। যা দিয়ে বড়সড় ঝামেলা ছাড়াই কয়েক ক্লিকেই শেয়ার বাজারে শুরু করা যায় বিনিয়োগ। কিন্তু, অল্প সময়ে বড় লাভ ঘরে তুলতে গিয়ে অনেকেই আবার পথে বসছেন। মোবাইলের এক ক্লিকেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট। মাথায় পড়ছে হাত। তাই বিনিয়োগের আগে বেশ কিছু বিষয়ে সদা সতর্ক থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
পেনি স্টক
যে সমস্ত সংস্থা সদ্য শুরু হয়েছে সেগুলির দাম অনেক সময়ই অনেক কম দেখতে পাওয়া যায়। আবার অনেক সংস্থার শেয়ার এমন রয়েছে যেগুলি একসময় মাল্টিব্যাগার ছিল। কিন্তু, পরবর্তীকালে সেগুলির দাম এতটাই কমেছে যে খোঁচা দিয়ে কেউ কেউ সেগুলিকে আবার মাল্টি বেগার স্টক বলে ডাকেন। তালিকায় যেমন আছে ইউনিটেকের শেয়ার। ২০০৮ সাল নাগাদ যে সংস্থার শেয়ার ৫০০ টাকার উপরে উঠে গিয়েছিল তা এখন ৫ টাকার আশেপাশে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিনিয়োগের কোনও সংস্থার অতীত, বর্তমান ভাল করে জেনে নেওয় বিশেষ প্রয়োজন। অনেক সময়েই দেখা যায় বড় ঋণের বোঝা থাকার জন্য দ্রুত ডুবতে থাকে অনেক সংস্থাই। সে ক্ষেত্রে শেয়ার বাজারেও তার বড় প্রভাব পড়ে। তাই একসময় ঝড়ো রিটার্ন দিলেও শীঘ্রই তা তলানিতে নেমে আসার সম্ভাবনাও থাকে প্রবল।
পাম্প অ্যান্ড ডাম্প
দেখা যায় মাঝেমাঝে এক একটা শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। চাহিদাও বাড়ে হু হু করে। বিক্রির জায়গায় শেয়ারটি কেনার ক্ষেত্রে দেখা যায় হিড়িক। তাই আচমকা কোনও শেয়ারের বড়সড় শ্রীবৃদ্ধি দেখলে সতর্ক থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, পাম্প অ্যান্ড ডাম্প। সোজা কথায় পাম্প অ্যান্ড ডাম্পের মাধ্যমে শেয়ার বাজারকে ভুল পথে চালানো করা যায়। কোনও নির্দিষ্ট সংস্থা বা স্টক সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের ভুল পথে চালানো করা হয়। বড় লাভের হাতছানি দিয়ে কিনতে উৎসাহিত করা হয়। সম্প্রতি, পাম্প অ্য়ান্ড ডাম্প কেসের অভিযোগে প্রায় ৪৫টি ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া বা সেবি (SEBI)। বিখ্যাত বলিউড স্টার আরশাদ ওয়ারসির (Arshad Warsi) বিরুদ্ধেও রয়েছে এই ধরনের অভিযোগ।
বিঃ দ্রঃ – এটি একটি শেয়ার বাজার এবং বিনিয়োগ সম্পর্কিত শিক্ষামূলক প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কখনই বিনিয়োগে উৎসাহিত করা বা মুনাফা কামানোর সহজ উপায় খুঁজে দেওয়া নয়। শেয়ার বাজারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোই এই প্রতিবেদনের অন্যতম লক্ষ্য। উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ।