বাড়ি, গাড়ির জন্য ‘ইএমআই’ (EMI) ঠিক আছে। তা বলে আমও ইএমআইয়ে? পুণের এক আম বিক্রেতার সৌজন্যে এবার তাও দেখছে গোটা দেশ। আম কিনতে পকেটে টান পড়লে মাসিক কিস্তিতে টাকা শোধের সুযোগ দিচ্ছেন তিনি। অসামান্য স্বাদের জন্য দেশজোড়া খ্যাতি আলফানসো (Alphonso Mango) আমের। তবে এই আমের দাম আর পাঁচটা আমের থেকে অনেকটাই বেশি। এদিকে ফলনও কম। তাই চাইলেও কিনে খেতে পারেন না অনেকেই। বাজারে আলফানসোর পেটির দিকে তাকিয়ে জিভে জল এলেও পকেটের কথা ভেবে গিলতে হয় ঢোঁক। অনেকে আবার কেজি প্রতি এই আম কেনার থেকে এই আমের রসে তৈরি বাজারজাত ঠান্ডা পানীয়র বোতলে চুমুক দিয়েই তৃপ্ত থাকেন। তবে এবার চাইলে ইএমআইয়ে কিনতে পারেন আলফানসো। তারই সুযোগ দিচ্ছেন গৌরব সানাস নামে পুণের এক ব্যবসায়ী।
মূলত মহারাষ্ট্রের দেবগড় ও রত্নগিরিতে আলফানসোর চাষ হয়। অনেকে আলফানসোকে হাপুস আম বলেও চেনেন। যেহেতু এই আমের উৎপাদন খুব কম, তাই একদিকে যেমন দাম চড়া, তেমনই জোগানেরও টানাটানি রয়েছে। সে কারণে এক ডজন আলফানসোর দাম বাজারে ৮০০ থেকে ১৩০০ টাকা অবধি পর্যন্ত গড়ায়। খুব স্বাভাবিকভাবেই অধিকাংশ সময় এই আম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরেই থেকে যায়।
গৌরব চান, সারা দেশের মানুষ যেন এই আমের স্বাদ পান। সে কারণেই Electronics জিনিসের মতো আমেও EMI-এর সুযোগ দিচ্ছেন তিনি। সংবাদসংস্থা PTI জানিয়েছে, গৌরব জানান, বিক্রি শুরু হতেই আলফানসোর দাম অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় ইএমআই চালু করলে অনেকেই এই আম খেতে পারবেন।
ফলের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সনস অব গুরুকৃপা ট্রেডার্স অ্যান্ড ফ্রুট প্রোডাক্টসের গৌরবের দাবি, তারাই দেশের মধ্যে প্রথম EMI-এর মাধ্যমে ফল বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, “ভাবলাম যদি ফ্রিজ, এসি বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক জিনিস ইএমআইয়ে কেনা যায়, তাহলে আমই বা নয় কেন?” কিন্তু কীভাবে EMI-এ এই আম কেনা যাবে?
ইএমআইয়ে যেভাবে কেউ মোবাইল ফোন কিংবা অন্য কিছু কেনেন, ঠিক সেভাবেই কিনতে পারবেন আমও। এর জন্য থাকতে হবে ক্রেডিট কার্ড। এরপরই ক্রয়মূল্য ৩, ৬ বা ১২ মাসের কিস্তিতে ভাগ হয়ে যাবে। আর কমপক্ষে ৫ হাজার টাকার আলফানসো আম কিনলে মিলবে এই সুবিধা। তিনি দাবি করেন, ইতিমধ্যে চারজন ইএমআইয়ে এই আম কিনেও ফেলেছেন।