ইসলামাবাদ: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ এবং বেশ কয়েকটি মিত্র দেশের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু তারপরও ইসলামাবাদের অর্থনৈতিক সংকট কাটেনি। তবে, তাদের হাতে আছে গুপ্তধন। যেদিকে চোখ পড়েছে সৌদি আরবের শাহজাদা মহম্মদ বিন সলমনের। কী সেই গপ্তধন? বালুচিস্তানের সোনার খনি। বিশেষ করে রেকো ডিক খনিটি পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটের সমাধান করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, সৌদি আরবের কাছে রেকো ডিক মাইনিং প্রকল্পের ১৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব বিক্রি করার কথা ভাবছে পাকিস্তান সরকার। সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড বা পিআইএফ-এর এতে অসীম আগ্রহ রয়েছে। এই খনি প্রকল্পের অংশিদারিত্ব পাওয়ার বদলে পাকিস্তানের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য আর্থিক অনুদানের প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি। যা পাকিস্তানের অর্থনৈতিকে মজবুত করতে পারে বলে আশা করছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম, ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ জানিয়েছে, সৌদির এই প্রস্তাব পর্যালোচনার জন্য পাকিস্তান একটি কমিটি গঠন করছে। এই কমিটি পাক মন্ত্রিসভাকে এই বিষয়ে যাবতীয় সুপারিশ করবে। তারপরই চুক্তির চূড়ান্ত মূল্য নিয়ে আলোচনা শুরু হবে বলে শোনা যাচ্ছে।
রেকো ডিক খনি একটি সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ। এর ৫০ শতাংশের মালিক ব্যারিক গোল্ড। বাকি অংশের মালিকানা আছে পাকিস্তান সরকার ও বালুচিস্তান সরকারের হাতে। বালুচিস্তানের চাগাই জেলায় অবস্থিত এই খনি, বিশ্বের বৃহত্তম সোনা ও তামার খনিগুলির অন্যতম। ১৯৯৫ সালে প্রথম এই খনি থেকে সোনা ও তামা তোলা শুরু হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, রেকো ডিক খনিতে প্রায় ৪০ কোটি টন সোনা থাকতে পারে। যার বর্তমান বাজার মূল্য অন্তত ১ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)