যে কোনও মানুষ, যে উপার্জন করে তার জন্য স্বাস্থ্যবিমা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অপ্রত্যাশিত শরীর খারাপ বা স্বাস্থ্যগত কোনও আপতকালীন অবস্থার সময় আমাদের আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায় স্বাস্থ্যবিমা। তবে অনেক সময় স্বাস্থ্যবিমা থাকার পরও হাসপাতালে রোগীর পরিজনদের হেনস্থা হতে হয়। এই ধরণের সমস্যার হাত থেকে বাঁচার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ করা জরুরি।
প্রথমত, বিমা করার সময় কোনও ভুল তথ্য দিলে হবে না। বয়স, আয়, পেশা, শখ বা আগের কোনও অসুখ রয়েছে কি না সেই সহ তথ্য বিমা সংস্থাকে সম্পূর্ণ নির্ভুল ভাবে দিতে হবে। কারণ, এই ধরণের বিষয়গুলোর মাধ্যমে সংস্থা ঝুঁকি হিসাব করে, যা আসলে বিমার প্রিমিয়ামকে প্রভাবিত করে। ফলে ভুল তথ্য দিলে প্রয়োজনের সময় বিমার কভারেজ না পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়।
দ্বিতীয়ত, বেশিরভাগ স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোনও ক্লেম করা যায় না। এই সময়টা বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হয়। বিমা কেনার প্রথম ৩০ দিনের মধ্যে শুধুমাত্র দুর্ঘটনার উপর কভারেজ পাওয়া যায়। আবার আগে থেকে থাকা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করাতে ২৪ থেকে ৪৮ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
তৃতীয়ত, প্রত্যেক বিমা সংস্থার নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রতি শহরেই একাধিক হাসপাতাল থাকে। নেটওয়ার্কের হাসপাতালে হলে ক্যাশলেস চিকিৎসা হয়ে যায়। কিন্তু নেটওয়ার্কের বাইরের হাসপাতালের ক্ষেত্রে ক্যাশলেস চিকিৎসা হয় না। সে ক্ষেত্রে রোগীর পরিবারকে নিজেদের পকেট থেকে খরচ করে চিকিৎসা করাতে হয় ও পরবর্তীতে বিমা সংস্থা সেই টাকা রিম্বার্স করে বা ফেরত দেয়।
চতুর্থত, প্রত্যেক স্বাস্থ্যবিমার একটা নির্দিষ্ট সীমা থাকে। সেই সীমা অতিক্রম করে গেলে বাড়তি খরচ রোগীর পরিজনকে বহন করতে হয়। এই ধরণের পরিস্থিতি এড়াতে বিমা করানোর সময় বা বিমা পুনর্নবীকরণ করানোর সময় বিমার কভারেজ বাড়িয়ে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
পঞ্চমত, কোনও চিকিৎসার তথ্য নির্ধারিত সময়ের পরে বিমা সংস্থাকে দেওয়া হলে তা অনেক সময়ই প্রত্যাখান হয়। ফলে, যখনই কোনও আপতকালীন চিকিৎসার জন্য কোনও হাসপাতালে ভর্তি হবেন, তা তখনই বিমা সংস্থাকে জানান। আর হাসপাতালে ভর্তি আগে থেকে নির্ধারণ করা থাকলে তা আগে থেকেই বিমা সংস্থাকে জানিয়ে রাখুন।