নয়া দিল্লি: বর্তমান সময়ে দাড়িয়ে আয়ের অন্যতম পথ হয়ে উঠেছে ফেসবুক। লাইভে এসে জামাকাপড় থেকে জুতো, ঘর সাজানোর টুকিটাকি পণ্য থেকে রূপচর্চার নানা জিনিস- ফেসবুক খুললেই হরেক পণ্য বিক্রি হতে দেখা যায়। আর ফেসবুক লাইভে এসে পণ্য বিক্রি করেই লক্ষাধিক মানুষ, বিশেষ করে মহিলারা আয়ের নতুন পথ খুঁজে পেয়েছিলেন। কিন্তু এই অনলাইন বিক্রেতাদের জন্য রয়েছে দুঃখের খবর। ফেসবুকের তরফে জানানো হল, এবার থেকে আর ফেসবুকে পাওয়া যাবে না লাইভ শপিং পরিষেবা। আগামী ১ অক্টোবর থেকেই ফেসবুক লাইভে পণ্য বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। মেটা সংস্থা, যার অধীনে রয়েছে ফেসবুক, তাদের তরফেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
সম্প্রতিই ফেসবুক তাদের বিজনেস হেল্প পেজে এই তথ্য জানিয়েছে। ফেসবুকের তরফে করা পোস্টে বলা হয়েছে, “২০২২ সালের ১ অক্টোবর থেকে ফেসবুকে আর কোনও লাইভ বা শিডিউল শপিং ইভেন্ট পোস্ট করা যাবে না”। জানা গিয়েছে, ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামের রিল ভিডিয়োর উপরে বিশেষ জোর দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফেসবুক নিজস্ব পোস্টেও সেই ব্যাখ্যা দিতে জানিয়েছে, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ধৈর্য্যের মেয়াদ ধীরে ধীরে আরও কমছে। গ্রাহকদের আচরণে দেখা গিয়েছে, তারা কোনও বড় ভিডিয়ো দেখার বদলে কম সময়ের ভিডিয়ো বা রিল দেখতেই বেশি আগ্রহী। সেই কারণেই ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে রিল ভিডিয়োর উপরই বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।
মেটার তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ১ অক্টোবরের পর থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা লাইভ আসতে পারলেও, সেখানে কোনও পণ্য সংক্রান্ত প্লে-লিস্ট তৈরি বা কোনও পণ্য ট্যাগ করতে পারবেন না। এর বদলে রিল ভিডিয়োয় ব্যবহারকারীরা কোনও পণ্য ট্যাগ করতে পারবেন। তবে ফেসবুক লাইভের মতোই রিলেও একই ধরনের ফিচার্স থাকবে কি না, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি মেটা সংস্থা।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ফেসবুক লাইভ শপিং ফিচারটি আনে। এতে লাইভ স্ট্রিমিংয়েই ব্যবহারকারীরা পণ্য বিক্রি করতে পারে। এর বদলে চেক আউটের সময়ে ফেসবুক তাদের কাছ থেকে একটি ক্ষুদ্র অঙ্ক নিজেদের প্ল্যাটফর্মে পণ্য বিক্রির ফি হিসাবে নেয়। তবে সম্প্রতিই সরকারের নজরাধীনে আসে ফেসবুকের এই ফিচার। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের অন্তর্বর্তী রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ফেসবুক অ্যাপের জটিল ডিজাইন, ভাষা সীমাবদ্ধতা ও উৎসাহের অভাবের কারণেই ধীরে ধীরে ফেসবুকের গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি কমে গিয়েছে।