নয়া দিল্লি: কথায় আছে, আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়া উচিত নয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে সকলেই উচ্চাকাঙ্খী। নিজের ছোট-বড় স্বপ্ন পূরণের জন্য টাকা জমার অপেক্ষা না করে ঋণ নিয়েই সেই স্বপ্ন পূরণ করেন। বর্তমানে ইলেকট্রনিক্স পণ্য থেকে শুরু করে জামাকাপড়-সবকিছুই ইএমআই-তে কেনার সুবিধা থাকায় বহু মানুষ ইএমআই (EMI) নির্ভর হয়ে পড়েছেন। কিন্তু ঋণের ক্ষেত্রে এটাও মাথায় রাখা দরকার যে সুদ সহ ঋণ মেটাতে হয়। অর্থাৎ দিনের শেষে আপনাকে অতিরিক্ত গ্যাঁটের কড়ি খরচ করতে হয়।
একবার ঋণ নিলে প্রতি মাসেই কিস্তিতে সেই ঋণ মেটাতে হয়। সেই সঙ্গে গুণতে হয় সুদের টাকাও। অনেক সময়ই আর্থিক সঙ্কটের কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঋণের কিস্তি দেওয়া সম্ভব হয় না। ঋণের কিস্তি একবার খেলাপ হলেই, ব্যাঙ্কের তরফে জরিমানা করা হয়। যদি আপনি পরপর দুটি ইএমআই দিতে না পারেন, তবে ব্যাঙ্ক থেকে পাঠানো হয় রিমাইন্ডার লেটার। তৃতীয় দফাতেও যদি আপনি ইএমআই খেলাপ করেন, তবে ব্যাঙ্ক কড়া পদক্ষেপ করে। নন-পারফর্মিং অ্যাসেট হিসাবে ধরা হয় আপনার ঋণকে। শুরু হয় ব্যাঙ্কের রিকভারি প্রক্রিয়া। ইএমআই বাউন্স হলে একধাক্কায় কমে যায় সিবিল স্কোর।
যদি আপনিও নির্দিষ্ট সময় মতো ঋণের কিস্তি বা ইএমআই না দিতে পারেন, তবে এই পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করুন-
ভুলবশত বা আর্থিক সমস্যার কারণে ইএমআই বাউন্স হলে, যে ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ থেকে ঋণ নিয়েছেন, সেখানে গিয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলুন। অনেক সময়ই ম্যানেজারের কাছে অনুরোধ করলে প্রথম কিস্তি খেলাপের ক্ষেত্রে পেনাল্টি বসানো হয় না।
যদি আপনার বেতন দেরিতে আসে এবং ইএমআই সময়মতো দিতে না পারেন, তবে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে এরিয়ার ইএমআই-র ব্যবস্থা করুন। মাসের প্রথমে যে ঋণের কিস্তি কেটে নেওয়া হয়, তাকে অ্যাডভান্স ইএমআই বলে। এর বদলে আপনি এরিয়ার ইএমআই-র পরিষেবা নিতে পারেন।
ঋণের কিস্তি বাউন্স হলেই কমতে থাকে সিবিল স্কোর। ঋণের ক্ষেত্রে সিবিল স্কোর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সিবিল স্কোরের দিকে সবসময় নজর রাখুন।