Scrap selling: আবর্জনাতেও সোনা ফলালেন মোদী, উঠে এল দু-দুটো চন্দ্রযান-৩ অভিযানের টাকা

Modi Govt scrap selling: চন্দ্রযান-৩ অভিযানে খরচ হয়েছিল প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। যদি বলা হয়, শুধুমাত্র কাগজের ফাইল, খারাপ হয়ে যাওয়া অফিস সরঞ্জাম এবং বাতিল যানবাহনের মতো আবর্জনা বিক্রি করেই, এই ধরনের দু-দুটো চন্দ্র অভিযান আয়োজন করতে পারে মোদী সরকার। বিশ্বাস করবেন?

Scrap selling: আবর্জনাতেও সোনা ফলালেন মোদী, উঠে এল দু-দুটো চন্দ্রযান-৩ অভিযানের টাকা
আবর্জনায় বিক্রি করে বিপুল লক্ষ্মীলাভ মোদী সরকারেরImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Dec 29, 2023 | 9:00 AM

নয়া দিল্লি: শেষ হতে চলল ২০২৩। এই বছরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল চাঁদের বুকে ভারতের সফল অবতরণ। চন্দ্রযান-৩ অভিযানের সাফল্য, শুধু আমাদের দেশের জন্যই নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই অভিযানে খরচ হয়েছিল প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। যদি বলা হয়, শুধুমাত্র কাগজের ফাইল, খারাপ হয়ে যাওয়া অফিস সরঞ্জাম এবং বাতিল যানবাহনের মতো আবর্জনা বিক্রি করেই, এই ধরনের দু-দুটো চন্দ্র অভিযান আয়োজন করতে পারে মোদী সরকার। বিশ্বাস করবেন? আসলে, সাম্প্রতিক সরকারি তথ্য বলছে, ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে এই ধরনের আবর্জনা বা ‘স্ক্র্যাপ’ বিক্রি করে প্রায় ১,১৬৩ কোটি টাকা আয় হয়েছে সরকারের!

সরকার এখন ই-ফাইলের উপর বেশি জোর দিচ্ছে। অর্থাৎ, সব কিছু কম্পিউটারে তোলা থাকছে। এর ফলে, কাগজের ফাইলের প্রয়োজন ফুরিয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসগুলি থেকে এই ধরনের ৯৬ লক্ষ কাগজের ফাইল বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে অফিসগুলিতে প্রায় ৩৫৫ লক্ষ বর্গফুট জায়গা খালি হয়েছে। একদিকে এই ফাইলগুলি বিক্রি করে কোষাগারে অর্থ এসেছে, আবার এই ফাঁকা হওয়া জায়গাগুলি অন্যান্য কাজে লাগানো গিয়েছে। প্রায় ২৪ লক্ষ কাগজের ফাইল বাতিল হয়েছে চলতি বছরেই। এই বিষয়ে সবার আগে রয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। তারা, চলতি বছরে প্রায় ৩.৯ লক্ষ ফাইল বাতিল করেছে।

যে ১,১৬৩ কোটি টাকা এইসব আবর্জনা বিক্রি করে রোজগার করেছে সরকার, তার মধ্যে চলতি বছরের অক্টোবরেই এসেছে ৫৫৭ কোটি টাকা! আর এর পিছনে রয়েছে মোদী সরকারের মাসব্যাপী স্বচ্ছতা অভিযান। মহাত্মা গান্ধীকে স্বচ্ছাঞ্জলী দিতে যে উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার, তার সাফল্য পরিসংখ্যানেই ধরা পড়েছে। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্মস অ্যান্ড পাবলিক গ্রিভেন্স বিভাগের সচিব, ভি শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, ওই এক মাসে, ভারতে এবং বিদেশের ২,৫৮,৬৭৩টি অফিসে স্বচ্ছতা অভিযান চলেছে। এর ফলে ১৬৪ লক্ষ বর্গফুট অফিস স্পেস খালি হয়েছে।

আবর্জনা বিক্রির ৫৫৭ কোটি টাকার মধ্যে সিংহভাগ এসেছে রেল মন্ত্রক থেকে। তাদের আয় হয়েছে প্রায় ২২৫ কোটি টাকা। এর পর রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, আয় ১৬৮ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক। আয় ৫৬ কোটি টাকা। আর চতুর্থ স্থানে রয়েছে কয়লা মন্ত্রক, আয় ৩৪ কোটি টাকা। তবে, তারা আবার অফিসের জায়গা খালি করার দিক থেকে সবার আগে আছে। কয়লা মন্ত্রক খালি করেছে ৬৬ লক্ষ বর্গফুট জায়গা। এরপর রয়েছে ভারী শিল্প মন্ত্রক, ২১ লক্ষ বর্গফুট। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক খালি করেছে, ১৯ লক্ষ বর্গফুট অফিস স্পেস।