নয়া দিল্লি: অনেক সময়ই আমাদের হঠাৎ নগদ অর্থের প্রয়োজন পড়ে, কিন্তু সবসময় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকে না। এইরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে কী করবেন? ধার-দেনা করার প্রয়োজন নেই, জিরো ব্যালেন্সেও আপনি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারেন। কীভাবে জানেন?
ব্যাঙ্কে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা না থাকলেও বা জ়িরো ব্যালেন্স হলেও, টাকা তোলা যায় অ্যাকাউন্ট থেকে। এই পরিষেবার নাম হল ওভারড্রাফ্ট ফেসিলিটি। ব্যাঙ্কের তরফেই এই পরিষেবা দেওয়া হয়। এতে গ্রাহকরা নিজেদের অ্যাকাউন্টে থাকা টাকার তুলনায় বেশি টাকা তুলতে পারবেন।
ওভারড্রাফ্ট পরিষেবায় ঋণ হিসাবেই জরুরি তহবিলের ব্যবস্থা করা হয়। ফিক্সড ডিপোজিটের সাপেক্ষে যেমন ওভারড্রাফ্ট ফেসিলিটি পাওয়া যায়, তেমনই আবার ব্যক্তিগত ঋণ হিসাবেও এই আর্থিক সুবিধা পাওয়া যায়। আপনার আয় ও ক্রেডিট ক্রেডেনশিয়ালের উপরে ভিত্তি করেই ওভারড্রাফ্টের পরিমাণ ধার্য করা হয়। সেই কারণেই প্রত্যেক গ্রাহকের ওভারড্রাফ্টের ধার্য পরিমাণ আলাদা হয়। এই ওভারড্রাফ্টের উপরে সুদের হারও বিভিন্ন বিষয় যেমন ক্রেডিট স্কোর, ক্রেডিট লিমিট, ঋণ পরিশোধের সময়সীমার উপরে নির্ভর করে। ফিক্সড ডিপোজিট, জীবনবিমা, জমি বন্ধক, সোনা বন্ধক রেখে ওভারড্রাফ্টের সুবিধা পাওয়া যায়।
ধরা যাক, আপনি এক লক্ষ টাকা ওভারড্রাফ্ট করেছেন বার্ষিক ১০ শতাংশ সুদের হারে। কিন্তু ওই টাকা থেকে আপনি মাত্র ১০ হাজার তুললেন এবং ২০ দিনের মধ্যেই সেই অর্থ অ্যাকাউন্টে ফের জমা দিয়ে দিলেন। তবে ব্যাঙ্ক আপনার কাছ থেকে ২০ দিনের সুদই নেবে। ওভারড্রাফ্টে নেওয়া অর্থ চোকাতে আপনি যতদিন সময় নেবেন, ততই সুদের হারও বাড়তে থাকবে।