ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই ক্রমাগত পড়ছে শেয়ার বাজার। ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ, মোট ২০ দিনের মধ্যে ৫ শতাংশের বেশি পড়েছে ভারতের অন্যতম বেঞ্চমার্ক সূচক নিফটি ৫০। আর এই একই সময়ে নিফটি ৫০-র তুলনায় সামান্য বেশি পড়েছে আর এক বেঞ্চমার্ক সূচক বিএসই সেনসেক্স।
বাজারের এই অবস্থার মধ্যে সোমবার একটি অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। তারা বলছে, বাজারের এই অনিশ্চয়তা ও অনেক মানুষের হাতে বাড়তি পুঁজির ওভাবের প্রভাব পড়েছে বিনিয়োগেও। আর সেই কারণেই নাকি শুধু জানুয়ারি মাসেই বন্ধ হয়েছে লক্ষাধিক এসআইপি বা সিস্টেম্যাটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান। লোকসভার অন্যতম বিরোধী দল কংগ্রেস বলছে, “খুচরো বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বন্ধ করায় ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে”।
অ্যাসোসিয়েশন অফ মিউচুয়াল ফান্ডস অফ ইন্ডিয়া বা AMFI বলছে শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসে ভারতে নতুন ৫৬ লক্ষ ১৯ হাজার এসআইপি চালু হয়েছে। অন্যদিকে, বন্ধ হয়েছে প্রায় ৬১ লক্ষ ৩৩ হাজার এসআইপি। আর এর পরই এক্স মাধ্যমে কংগ্রেস লিখছে, সরকারের নীতিতে আস্থা নেই সাধারণ মানুষের, তাঁরা বাজার নিয়ে আতঙ্কিত।
বাজার বিশেষজ্ঞরা অবশ্য দাবি করছেন, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই করোনা মহামারির পর বিনিয়োগ শুরু করেছেন। ফলে, তাঁরা বাজারের এত বড় কারেকশন এর আগে কখনও দেখেননি। আর এখন এইভাবে টানা সূচককে পড়তে দেখে আতঙ্কেই হয়তো বিনিয়োগ বন্ধ করে বাজার থেকে সব টাকা তুলে নিচ্ছেন।
কোনও রকম বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই লেখা শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।