প্রথম যুগের স্মার্ট ফোনের কথা মনে আছে? তখন ফোনের মেমোরি হত ২ জিবি বা ৪ জিবি। তারপর ধীরে ধীরে প্রযুক্তির উন্নতি হতে থাকল। বাড়তে থাকল মানুষের চাহিদা। আজকের দিকে বেশিরভাগ ফোনেই ১২৮ জিবির কম ইন্টারনাল মেমোরি থাকে না। আর সেই মেমোরি খুব তাড়াতাড়ি আমরা ভরিয়ে ফেলি ছবি বা সেলফি তুলেও। আগে আমরা ভরসা করতে পারতাম মেমোরি কার্ডের উপর। কিন্তু এখনকার বেশিরভাগ ফোনেই আবার মেমোরি কার্ড লাগালে দ্বিতীয় সিম লাগানোর জায়গা থাকে না। ফলে না চেয়েও আমাদের নির্ভর করতে হয় ক্লাউড স্টোরেজের উপর।
যাঁদের অ্যান্ড্রয়েড ফোন তাঁরা গুগল ক্লাউড স্টোরেজের ১৫ জিবি জিমেল অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ফ্রি পান। তার বেশি প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে স্টোরেজ কিনতে হয়। আর আই ফোনের ক্ষেত্রে ৫০ জিবি ফ্রি দেয় অ্যাপেল। তারপর স্টোরেজ প্রয়োজন হলে খরচ করে কিতে হয়। এই ক্লাউড স্টোরেজ যত দিন যাচ্ছে ক্রমাগত জনপ্রিয় হচ্ছে ভারতীয়দের কাছে।
ক্লাউড স্টোরেজের ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য ছিল অ্যাপেল ও গুগল। আর এবার ভারতের এই বিরাট বাজারকে মাথায় রেখে সেই বাজারে ঢুকতে চলেছে মুকেশ অম্বানির রিলায়েন্স জিও। জানা গিয়েছে, তারা শুরুতে ৫০ জিবি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত ক্লাউড স্টোরেজ দেবে একেবারে বিনেপয়সায়। তারা অবশ্যই এই সুবিধা দেবে তাঁদের সিম ব্যবহার করে যাঁরা তাঁদেরকেই। যে সব প্রিপেড বা পোস্টপেড প্ল্যান ২৯৯ থেকে শুরু, সেই সব প্ল্যান রিচার্জ করলেই এই বিনে পয়সার ক্লাউড স্টোরেজের সুবিধা নেওয়া যাবে।
জিও-র এই পদক্ষেপ গুগলের জন্য একটা বিরাট সমস্যা তৈরি করতে পারে। কারণ, গুগল শুরুতে ১৫ জিবি ফ্রি স্টোরেজ দেয়। অ্যাপেল ৫০ জিবি ফ্রি স্টোরেজ দিলেও তারা এখনও ভারতের আমজনতার ফোন হয়ে উঠতে পারেনি। আর সেখানেই বাজি মারতে চাইছে জিও। ইতিমধ্যে দেশের বিরাট অংশের মানুষ জিওর পরিষেবা ব্যবহার করে। ফলে, জিও এই ক্লাউড স্টোরেজের ব্যবসায় নামতেই বেশ চাপে পড়েছে গুগল। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অ্যানুয়াল জেনারেল মিটিংয়েই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত ক্লাউড স্টোরেজ লঞ্চ করেছিল রিলায়েন্স জিও।
কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই লেখা শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।