নয়া দিল্লি : ভারতে স্টার্টআপের (Startup Market in India) বাজার দ্রুত বাড়ছে। আমাদের দেশে, প্রায় ৬০ হাজার স্টার্টআপ সংস্থা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশীয় বাজারে স্টার্টআপের সাফল্যের পিছনে একটি বড় কারণ হল বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এই নতুন স্টার্টআপগুলির দিকে। তারা এখন এই স্টার্টআপগুলিতে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছেন। সম্প্রতি ন্যাসকম (NASSCOM) এবং জিনোভ (Zinnov)-এর একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০২১ সালে ২ হাজার ২৫০ টিরও বেশি স্টার্টআপের যাত্রা শুরু হয়েছে, যা ২০২০ সালের তুলনায় প্রায় ৬০০ বেশি। ভারতীয় স্টার্টআপগুলি ২০২১ সালে ১ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার ফান্ড তৈরি করেছে। এই ফান্ড প্রাক-কোভিড সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি।
বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টার্টআপগুলিও আরও উন্নত মানের প্রযুক্তির ব্যবহার করছে এবং সেই সঙ্গে দক্ষ লোকের সন্ধান করছে। এর সঙ্গে সঙ্গে ভারতের প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে স্টার্টআপ বেস ক্রমেই বাড়ছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থাও বাড়ছে এবং তারা এর জন্য অনেক ক্ষেত্রেই ঝুঁকি নিতে তৈরি হচ্ছেন। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ২৪০০-র বেশি বিনিয়োগকারী ভারতীয় স্টার্টআপগুলির জন্য ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত৷
স্টার্টআপের বাজারে বিদেশি বিনিয়োগের বেশিরভাগই আসছে আমেরিকা থেকে। এর পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য জায়গা থেকে যে পরিমাণ বিনিয়োগ আসে, তাও বাড়ছে। ন্যাসকমের সভাপতি দেবযানী ঘোষ জানিয়েছেন, “২০২১ সালে ভারতীয় স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের পারফরম্যান্স থেকেই বোঝা যায় বিভিন্ন সেক্টরের স্টার্টআপগুলির উদ্যোগ। এই ইকোসিস্টেম এখন ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতির বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছে।” ২০২২ সালে ভারতীয় স্টার্টআপগুলির ভবিষ্যত আরও উজ্জ্বল দেখাচ্ছে বলেই মত ন্যাসকম সভাপতির।
গত বছর ১১টি স্টার্টআপের আইপিও এসেছে। শেয়ার বাজারের থেকে তারা ৪৪ হাজার ৬৫২ কোটি টাকার আয়ের মুখ দেখেছে। ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর সমস্ত স্টার্টআপের বাজার মূল্য দ্বিগুণ বেড়েছে। ভারতীয় স্টার্টআপের মূল্যায়ন বর্তমানে হু হু করে বাড়ছে। স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গত এক দশকে সরাসরি চাকরি হয়েছে ৬ লাখ ৬০ হাজার। পরোক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে ৩৪ লাখেরও বেশি।
জিনভের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার পারি নটরাজন বলেছেন, ২০২১ সাল ভারতীয় স্টার্টআপগুলির জন্য একটি দুর্দান্ত বছর ছিল। ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইজরায়েল এবং চিনের তুলনায় ভারতে স্টার্টআপের সংখ্যার দিক থেকে বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি। দিল্লি-এনসিআর, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, পুনে, হায়দরাবাদ এবং মুম্বইয়ের মতো এলাকায় দেশের মোট প্রতিষ্ঠিত স্টার্টআপগুলির প্রায় ৭১ শতাংশ।
আরও পড়ুন : Petrol Price Today: সাত বছরের রেকর্ড ভাঙল অপরিশোধিত তেল, ৭৯ দিন অপরিবর্তিত পেট্রোল ডিজেল