নয়া দিল্লি: অবসরের সময় যত এগিয়ে আসে, ততই আর্থিক সুরক্ষা নিয়ে চিন্তা বেড়ে যায়। অবসরের পর ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখার জন্য সকলেই অনেক বছর আগে থেকেই সঞ্চয় শুরু করে দেন। অবসর পরবর্তী জীবনের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য একাধিক স্কিম বা প্রকল্পও রয়েছে। এইরকমই একটি প্রকল্প হল ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম। এই সরকারি প্রকল্পে মাসিক ন্যূনতম টাকা রেখেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মোটা টাকা ফেরত পাওয়া যায়।
ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম বা এনপিএস হল সরকারি অনুদানভুক্ত একটি অবসর প্রকল্প। ২০০৪ সালে সরকারি কর্মীদের জন্য এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়। এরপর ২০০৯ সালে সরকারি কর্মীদের পাশাপাশি বেসরকারি কর্মীদেরও এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এটি হল একধরনের পেনশন তথা বিনিয়োগ প্রকল্প, যা দেশের প্রবীণ নাগরিকদের আর্থিক সুরক্ষা দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
মাত্র ২০ বছর বয়স থেকেই এনপিএসে বিনিয়োগ শুরু করা যায়। মাসিক ১ হাজার টাকা থেকেই এই পেনশন প্রকল্পে বিনিয়োগ করা যায়। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বা অবসরের পর রিটার্ন বাবদ ৫.৪ লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। বার্ষিক ১০ শতাংশ সুদের হারে যদি এই পেনশন স্কিমে বিনিয়োগ করা যায়, তবে অবসরের পর ১.০৫ কোটি টাকা অবধি উপার্জন সম্ভব। এবার এনপিএসের কোনও গ্রাহক যদি তাঁর মোট অর্থ, যা কর্পাস হিসাবে পরিচিত, তার ৪০ শতাংশ বার্ষিক হিসাবে ভাগ করে নেন, তবে সেই অর্থের পরিমাণ ৪২ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা হয়। অর্থাৎ প্রতি মাসে আপনি ২১ হাজার ১৪০ টাকা করে পেনশন পেতে পারেন আপনি এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করে। এছাড়া অবসরের পর একসঙ্গে ৬৩ লক্ষ ৪১ হাজার টাকাও পাবেন গ্রাহকরা।
যদি আপনি মাসিক বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ান, তবে অবসরের পর আয়ও বাড়বে। ধরা যাক, আপনি যদি ১ হাজার টাকার বদলে মাসিক ২৫০০ টাকা করে বিনিয়োগ করেন, তবে ৬৫ বছর বয়সে অবসরের পর আপনি মাসিক ৫২ হাজার টাকা পেনশন পাবেন।
এনপিএস ক্যালকুলেটরের জন্য প্রথমেই https://www.npstrust.org.in/content/pension-calculator- এই লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে।
এরপর নিজের জন্মতারিখ দিতে হবে।
এবার আপনি মাসিক কত টাকা জমা রাখতে চান এবং কত বছর অবধি বিনিয়োগ করতে চান, তা উল্লেখ করতে হবে।
এবার বিনিয়োগের বিনিময়ে কত টাকা রিটার্ন পাওয়ার আশা করছেন এবং বার্ষিক রিটার্ন কত হতে পারে, তার আনুমানিক অঙ্ক লিখতে হবে।
এই তথ্যগুলি লিখলেই আপনি এনপিএসে বিনিয়োগ করে কত টাকা রিটার্ন পেতে পারেন, তা দেখতে পাবেন।
ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমে নাম নথিভুক্ত করার জন্য অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং যাবতীয় নথির কেওয়াইসি থাকা বাধ্যতামূলক।