কলকাতা: বিয়ে মানে শুধু চারহাত এক হওয়া নয়, এক বিরাট কর্মযজ্ঞ। যত সময় এগোচ্ছে, ততই থিমের প্রবেশ হচ্ছে বিবাহে। বিশাল বড় মাপের আয়োজন করে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য কমপক্ষে ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকা খরচ হয়ই। অনেকের ইচ্ছা থাকলেও, আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় ধুমধাম করে বিয়ে দিতে পারেন না সন্তানের। অনেকের আবার শখ থাকে বিদেশে হানিমুনে যাওয়ার, কিন্তু পকেটে টান থাকায় যেতে পারেন না। এবার টাকার চিন্তা দূর হবে। বিয়ে করবেন আপনি, টাকা দেবে অতিথিরা।
না না, কোনও অলীক স্বপ্ন নয়। এটা সম্পূর্ণ সত্যি। বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের আমন্ত্রণ করেন সকলে। যদি অতিথিদের কাছ থেকেই বিয়ের খরচের টাকা তুলতে চান, তবে আপনাকে অনলাইনে শুধু একটা ছোট্ট কাজ করতে হবে। বিয়েতে আমন্ত্রণ করতে হবে বিদেশিদের।
ভারতে ঘুরতে আসা অনেক বিদেশি পর্যটকই চান ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে উপভোগ করতে। ভারতে বিয়ে কীভাবে হয়, তা কাছ থেকে দেখতে চান অনেকে। এর জন্য তারা লক্ষাধিক টাকাও দেন। গায়ে হলুদ থেকে বিয়ে, বউভাত-সমস্ত অনুষ্ঠানেই সামিল হওয়ার আমন্ত্রণ জানাতে হবে বিদেশি অতিথিদের। তাঁরা বরযাত্রীর সঙ্গে পা মিলিয়ে নাচবেন, কবজি ডুবিয়ে বিয়ের ভোজ খাবেন। আর এই সবকিছু আনন্দ উপভোগ করার জন্যই আপনাদের লক্ষ লক্ষ টাকা দেবে বিদেশি অতিথিরা।
জয়েন মাই ওয়েডিং সহ একাধিক ওয়েবসাইট রয়েছে, যেখান থেকে আপনি বিদেশি অতিথিদের বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। প্রথমেই আপনাদের এই ওয়েবসাইটে নাম রেজিস্টার করতে হবে। আপনাকে বিয়ের কার্ড, তারিখ, পরিকল্পনা, অনুষ্ঠানের জায়গা ও নিজেদের বিয়ের কাহিনি ছোট করে আপলোড করতে হবে ওয়েবসাইটে। বিদেশিরা তাদের বাজেট ও পছন্দ অনুযায়ী বেছে নেবেন কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে চান তারা।
জয়েন মাই ওয়েডিং-এ বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ২০ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। কতজন বিদেশি অতিথিকে আপনি আমন্ত্রণ জানাবেন, তা নিজেই ঠিক করতে পারেন। যদি আপনি লাখ টাকা উপার্জন করতে চান, তবে ৫ জন বিদেশি অতিথিকে বিয়েতে আমন্ত্রণ জানালেই হবে।
উল্লেখ্য, বিদেশিদের দেওয়া অর্থ থেকে এই পোর্টালগুলি তাদের কমিশন কেটে বাকি টাকা দেয়। অর্থাৎ ৫ জন অতিথিকে আমন্ত্রণ জানালে ১ লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও, তার থেকে কিছু টাকা ওই পোর্টাল কমিশন বাবদ কেটে নেবে।