Silver Loan: সোনার মতো রুপোর বিনিময়েও এবার ঋণ নিতে পারবেন আপনি, RBI আনল নয়া নিয়ম
RBI Guideline: আরবিআই-র তরফে জানানো হয়েছে, সোনা ও রুপোর গহনা, কয়েনের বিনিময়ে স্বল্প মেয়াদে ঋণ নেওয়া যাবে। তবে বুলিয়ান সিলভার অর্থাৎ বার আকারে থাকা সোনা বা রুপো ঋণের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। বন্ধক দেওয়া সোনা বা রুপো দিয়ে আরেকটি ঋণও নেওয়া যাবে না।

নয়া দিল্লি: হঠাৎ টাকার দরকার পড়লে, অনেকেই ঋণ নিতে বাধ্য হন। এখন ব্যক্তিগত ঋণ ছাড়াও একাধিক ঋণের অপশন রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি অপশন হল গোল্ড লোন বা সোনার বিনিময়ে ঋণ। তবে সকলের তো আর সাধ্য থাকে না প্রচুর সোনার গহনাগাটি কেনার, তাদের জন্যও ভাল খবর রয়েছে। এবার সোনার মতোই রুপোর বিনিময়েও ঋণ নেওয়া যাবে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফেই এই নিয়ম চালু করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে রুপো বন্ধক রেখে তার বিনিময়ে ঋণ নেওয়া যাবে। ব্যাঙ্ক, কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক ও নন-ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠান থেকে সোনা ও রুপোর বিনিময়ে ঋণ নেওয়া যাবে।
আরবিআই-র তরফে জানানো হয়েছে, সোনা ও রুপোর গহনা, কয়েনের বিনিময়ে স্বল্প মেয়াদে ঋণ নেওয়া যাবে। তবে বুলিয়ান সিলভার অর্থাৎ বার আকারে থাকা সোনা বা রুপো ঋণের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।
বন্ধক দেওয়া সোনা বা রুপো দিয়ে আরেকটি ঋণও নেওয়া যাবে না। আবার সোনা, রুপো বা ইটিএফ কেনার জন্য ঋণ নেওয়া যাবে না।
কত ঋণ পাওয়া যাবে?
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, সোনার মোট দামের ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ হিসাবে পাওয়া যায়। আগে সোনার দামের ৭৫ শতাংশ ঋণ বাবদ পাওয়া যেত। সুদ সহ সর্বাধিক আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যেতে পারে। উদাহরণ হিসাবে, আপনি যদি ১ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনা বন্ধক রাখেন, তার বদলে ৮৫ হাজার টাকা পাবেন ঋণ বাবদ। ১২ মাস অর্থাৎ ১ বছরের মধ্যেই এই ঋণ পরিশোধ করতে হয়।
কত সোনা-রুপো বন্ধক রাখা যায়?
আরবিআই-র নিয়ম অনুযায়ী,
- সর্বাধিক ১ কেজির সোনার গহনা বন্ধক রাখা যায়
- ৫০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের সোনার কয়েন বন্ধক রাখা যায়
- ১০ কেজি পর্যন্ত রুপোর গহনা বন্ধক রাখা যায়
- ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত রুপোর কয়েন বন্ধক রাখা যায়।
ঋণের নিয়ম-
যে দিন ঋণ পরিশোধ হয়ে যায়, সেই দিনই বা ৭ দিনের মধ্যে গ্রাহককে তার বন্ধক রাখা সোনা বা রুপো ফেরত দিতে হবে। যদি ৭ দিনের বেশি দেরি হয়, তাহলে ঋণদাতাকে প্রতিদিন জরিমানা দিতে হবে। ঋণ গ্রহীতাকে প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা দেবে ঋণদাতা।
যদি বন্ধক রাখা সোনা বা রুপো হারিয়ে যায় বা কোনও কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে ঋণদাতাকেই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
যদি কেউ ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে ঋণদাতা সেই সোনা বা রুপো নিলাম করে দিতে পারেন। তবে তার আগে যথাযথ নোটিস জারি করতে হবে। নিলামের সংরক্ষিত মূল্য সোনার বাজার দরের ৯০ শতাংশ হতে হবে। যদি দুইবার নিলাম ডাকার পরও বিক্রি না হয়, তাহলে বাজারদরের ৮৫ শতাংশ মূল্য ধার্য করতে হবে। যদি নিলামে ঋণ নেওয়া অর্থের তুলনায় বেশি অর্থ পাওয়া যায়, তাহলে সেই অতিরিক্ত অর্থ ৭ দিনের মধ্যে ঋণগ্রহীতাকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
