নয়া দিল্লি: রাশিয়ার সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার হুমকি সত্ত্বেও বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম গত জানুয়ারির মাসের পর থেকে সবথেকে কমে নেমে এল। ইউএস বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটে অপরিশোধিত তেলের দাম ৮৫ মার্কিন ডলারের নীচে নেমে গিয়েছে। আর গ্লোবাল ব্রেন্ট বেঞ্চমার্ক নেমে গিয়েছে ৯০ মার্কিন ডলরের নীচে। আর এর কারণ ডলারের ঊর্ধ্বগতি এবং বৈশ্বিক চাহিদা হ্রাসের উদ্বেগ বলে জানা গিয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম তেল আমদানীকারক দেশ চিনের তেল চাহিদা এখন ক্রমশ কমছে। চিনে, কঠোর করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ব্যবস্থা এই চাহিদা হ্রাসের জন্য দায়ী। চেংদু থেকে শেনজেন পর্যন্ত প্রধান শিল্পাঞ্চলগুলিতে এখন কঠোর লকডাউন চলছে। সেই লকডাউনের মেয়াদ সম্প্রতি আরও সম্প্রসারিত করা হয়েছে। বহু জায়গায় লকডাউন তুলে নেওয়া হলেও যানবাহন ও লোক চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেপো রেট বাড়িয়েছে। তাই বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন যে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি মন্দার মুখে পড়তে পারে। আর এই কারণেই জানুয়ারি মাসের পর ফের একবার সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছল অপরিশোধিত তেলের দাম।
ক্রমহ্রাসমান চাহিদার বাজারে লাভের মুখ দেখার জন্য সোমবারই পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলির সংস্থা ‘ওপেক’ এবং তার মিত্রদেশগুলি উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন স্তরে নেমে যাওয়ায় সেই লাভের রেখা মুছে গিয়েছে। এর আগে তেলের দামে কিছুটা শিথিলতা এনে, এশিয়া এবং ইউরোপের গ্রাহকদের জন্য সৌদি আরব আগামী মাসের জ্বালানি চালানের জন্য দাম কমিয়েছিল।
আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমার কোনও প্রভাব ভারতের খুচরো জ্বালানির বাজারে পড়ে কিনা, সেটাই এখন দেখার। ৭ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে পেট্রোলের দাম ছিল ৯৬.৭২ টাকা প্রতি লিটার। চেন্নাই, মুম্বই ও কলকাতায় যথাক্রমে ১০২.৬৩, ১১১.৩৫, ১০৬.০৩ টাকা প্রতি লিটার। দিল্লিতে পেট্রোলের দাম ছিল ৯৬.৭২ টাকা প্রতি লিটার। আর ডিজেলের দাম ছিল চেন্নাইয়ে ৯৪.২৪ টাকা প্রতি লিটার, দিল্লিতে ৮৯.৬২ টাকা প্রতি লিটার, মুম্বইয়ে ৯৭.২৮ টাকা প্রতি লিটার ও কলকাতায় ৯২.৭৬ টাকা প্রতি লিটার।