নয়া দিল্লি: ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাস বা ট্যাক্সির জন্য অপেক্ষা নয়, সহজে গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য বর্তমানে সাধারণ মানুষের ভরসা অনলাইন ক্যাব পরিষেবাই। এক্ষেত্রে ওলার জনপ্রিয়তা শিখরে। বর্তমানে বিশ্বজুড়েই এই অ্য়াপ-ক্যাবের পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে। এর জেরে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও হয়েছে। তবে এবার কর্মীদের জন্য দুঃসংবাদ আনল ওলা সংস্থা। সম্প্রতিই ওলার তরফে জানানো হয়েছে, তারা কম খরচে গাড়ি চালানোর জন্য একসঙ্গে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে।
ওলা সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ওলা ড্যাশ নামক পরিষেবা একাধিক শহরে বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, সংস্থা যে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে, তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমে ওলা ড্যাশ দেশের ৯টি শহরে চালু করা হলেও, পরে তা কমিয়ে ৩টি শহরে সীমাবদ্ধ করা হয়। সেই সময় প্রায় ২১০০-রও বেশি কর্মী চাকরি খুইয়েছিলেন। জুন মাসে দেশের সমস্ত শহরেই ওলা ড্যাশ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ব্যবহৃত গাড়ির ব্যবসা ওলা কারসের পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্মী ছাঁটাইয়ের ধারাই আপাতত বজায় রাখতে চলেছে ওলা। সমস্ত বিভাগ থেকেই কর্মী ছাঁটাই চলছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিকূল পরিস্থিতি ও নির্দিষ্ট সময়ে বেশ কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি বলেই বাধ্য হয়ে ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে হচ্ছে তাদের। আপাতত তারা ওলার গাড়ি-বাইক উৎপাদনের উপরই মনোনিবেশ করতে চান। সূত্রের খবর, কত সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করা হবে, ইতিমধ্যেই তার তালিকা তৈরি করে ফেলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ওলা সংস্থা দ্রুত মুদি সামগ্রী ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ডেলিভারির পরিষেবা চালু করেছিল। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে সেই পরিষেবারই নাম বদলে ওলা ড্যাশ পরিষেবা করা হয়। ৯টি শহর জুড়ে মোট ২০০টি দোকান খোলা হয়েছিল।
বর্তমানে ওলায় প্রায় ৫ হাজার মানুষ কর্মরত।দেশের প্রায় ২৫০টিরও বেশি শহরে পরিষেবা প্রদান করে ওলা। ভারত ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ব্রিটেনেও ওলা পরিষেবা উপলব্ধ। বাইক, অটো-রিক্সা থেকে শুরু করে গাড়ি, যাতায়াতের যাবতীয় ব্যবস্থাই রয়েছে ওলায়। তবে ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর আর্থিক মন্দার জেরে তাদের খাবার ডেলিভারি, গাড়ি ও আর্থিক পরিষেবার অধীনে কর্মরত প্রায় ১৪০০ কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছিল।