দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনাসংক্রমনের মাঝেই ভাইরাসের নতুন ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট আরও বেশি আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। করোনার এই বাড়বাড়ন্তের কারণে, বিশ্বের পরিষেবা ক্ষেত্রের অবস্থা ক্রমশ খারাপ এর দিকে। ডিসেম্বরে পরিষেবা ক্ষেত্রের অগ্রগতি তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। বুধবার, মাসিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং কেনাবেচার ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। এই কারণেই পরিষেবা ক্ষেত্রের গতি তুলনামূলকভাবে কমেছে। নভেম্বর মাসে ভারতের বিজনেস অ্যাক্টিভিটি ইনডেক্স ছিল ৫৮.১, ডিসেম্বর মাসে তা কমে হয়েছে ৫৫.৫।
এই সমীক্ষা অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, পরিষেবা ক্ষেত্রে উৎপাদনের হার ধারাবাহিকভাবে ৫ মাস ধরে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ক্ষেত্রে পারচেজিং ম্যানেজার ইনডেক্স ৫০ এর ওপর থাকলে , সেটা বৃদ্ধি হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।
বিগত চার মাসে কর্মসংস্থান এই প্রথমবারের জন্য কমতে দেখা গিয়েছে। ওই সমীক্ষায় ডিসেম্বর এর তথ্য অনুযায়ী উৎপাদন ও পরিষেবা ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কমেছে, যা চার মাসের প্রথম। ৩০ ডিসেম্বর পাওয়া, গুগল মবিলিটি ডেটা অনুযায়ী, দিল্লিতে খুচরো ব্যবসার ক্ষেত্রে ১৯ শতাংশ, বিনোদন ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ এবং গণপরিবহন ক্ষেত্রে ১৭ শতাংশ কর্মসংস্থান কমেছে।
স্বাভাবিকভাবেই, উৎপাদন ক্ষেত্রে তুলনায় পরিষেবা ক্ষেত্রে ওমিক্রনের প্রভাব বেশি দেখা গিয়েছে। কারণ উৎপাদন ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের ছাড়া সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ থাকে না, কিন্তু পরিষেবা ক্ষেত্র সম্পূর্ণভাবেই উপভোক্তাদের অংশগ্রহণের ওপর নির্ভরশীল। পিএমআই ডাটা অনুযায়ী, করোনাভাইরাসর দ্বিতীয় দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়, উৎপাদন ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়েনি, কিন্তু মে মাসে পরিষেবা ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিঘ্নিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন Asymptomatic omicron: আপনি কি উপসর্গবিহীন COVID-এ আক্রান্ত ? এটা কতটা গুরুতর হতে পারে? জানুন