নয়া দিল্লি: সংকট আরও বাড়তে চলেছে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের। একাধিক সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবার পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের, ব্যাঙ্কিং লাইসেন্সই বাতিল করতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর পাশাপাশি, ব্যাঙ্কের প্রতিদিনের কর্মকান্ড তদারকি করার জন্য, একজন প্রশাসক নিয়োগ করতে পারে আরবিআই। বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২০ বছরে ব্যাঙ্কিং সেক্টরে আর কোনও সত্ত্বার লাইসেন্স প্রত্যাহার করেনি আরবিআই। অন্তত চারটি ক্ষেত্রে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে ‘ডিলিজেন্ট ফেইলিওর’ ছিল বলে দাবি আরবিআই-এর। ব্যাঙ্কিং সেক্টরের বেশ কয়েকটি বড় নাম পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক অধিগ্রহণে আগ্রহী। তবে, ‘কেওয়াইসি’ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে অধিগ্রহণের বিষয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে।
পেটিএম সংস্থার পেরেন্ট কোম্পানি হল ওয়ান৯৭ কমিউনিকেশনস। ১ মার্চ, তারা জানিয়েছিল, পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক-এর সঙ্গে পেটিএম-এর বেশ কয়েকটি আন্তঃ-সংস্থা চুক্তি বন্ধ করার বিষয়ে দুই সত্ত্বাই সম্মত হয়েছে। ওয়ান৯৭ কমিউনিকেশনসও, পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক-এর সঙ্গে তাদের যাবতীয় চুক্তি বাতিল করেছে। তারা আরও বলেছে, পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক লিমিটেড যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, তার জন্য পেটিএম এবং পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক বেশ কিছু অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। ৩১ জানুয়ারি, পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের কর্মকাণ্ডের উপর আরবিআই-এর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরই এই সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরবিআই, ২৯ ফেব্রুয়ারির পর, কোনও গ্রাহক অ্যাকাউন্ট, ওয়ালেট, ফাস্টট্যাগস এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আমানত বা টপ-আপ গ্রহণ করা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ককে। পেটিএম-এর ৩৩ কোটি ওয়ালেট অ্যাকাউন্টগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে অবশ্য আরবিআই, টপ-আপ এবং তহবিল স্থানান্তরের মতো পরিষেবাগুলি বন্ধের সময়সীমা বাড়িয়েছে। ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ককে। ব্যাঙ্কের বাকি পরিষেবাগুলি ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।