আগামী কয়েক বছরে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ হবে। মোদী সরকার বারংবার এ কথা বলেছে। মোদী জমানায় দেশের অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন এসেছে বলেও দাবি কেন্দ্রীয় সরকারে। শুধু দেশেরই নয়, সামগ্রিকভাবে দেশের জনগণেরও অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এবার সেই দাবির পক্ষে গত কয়েক বছরে দেশের জনগণের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের নথি এল প্রকাশ্যে। ২০১৪ থেকে শুরু করে গত ৯ বছরে দেশের জনগণের মাথা পিছু আয় বেড়েছে। এর ফলে দেশে করদাতাদের সংখ্যা বাড়তে পারে। এবং তার ফলে দেশের শেষমেশ দেশেরই অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
২০১৪ সালে কেন্দ্রে মোদীর শাসন শুরু হয়। তখন থেকে দেশের মাথা পিছু আয় দ্বিগুণ হয়ে বর্তমানে তা হয়েছে ১.৭২ লক্ষ টাকায় দাঁড়িয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য় অনুযায়ী, ২০২২-২৩ সালে মোট জাতীয় আয়ের প্রেক্ষিতে মাথা পিছু আয় দাঁড়িয়েছে ১,৭২,০০০ টাকা। গত বছরের তুলনায় যা ১৫.৮ শতাংশ বেশি। যেখানে ২০১৪-১৫ সালে মাথা পিছু আয় ছিল ৮৬,৬৪৭ টাকা। তখন থেকে মাথা পিছু আয় বেড়েছে প্রায় ৯৯ শতাংশ।
এদিকে NSO-র তথ্য অনুযায়ী, কোভিড অতিমারির সময় মাথা পিছু আয় কমে গিয়েছিল। তবে ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ সালে তা আবার বেড়ে গিয়েছে। NSO-র এই তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর একাংশ বিশেষজ্ঞদের মতামত, মাথা পিছু আয় বাড়লেও দেশে আয়ের অসম বণ্টন এখনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। মোট জনসংখ্যার মাত্র প্রথম সারির ১০ শতাংশের মধ্যেই আয় বৃদ্ধির সীমাবদ্ধ। আয়ের অসম বণ্টন ছাড়াও আর্থিক প্রবৃদ্ধিও একটি উদ্বেগের বিষয়। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি ছিল ৪.৪ শতাংশ। যেখানে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি ছিল ৬.৩ শতাংশ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুযায়ী, ডেভেলপমেন্ট ইকনমিস্ট জয়তী ঘোষ বলেছেন আয়ের বণ্টন সঙ্কটজনক। তিনি বলেন, “আপনি বর্তমান মূল্যে জিডিপি দেখছেন। কিন্তু আপনি যদি মূল্যবৃদ্ধির হিসেব করেন তাহলে বৃদ্ধি অনেক কম।” এদিকে মাথা পিছু আয় বাড়লেও তা দেশের বেশি উপার্জনকারীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।