প্রতীকী ছবি
নয়া দিল্লি: নিজের একটা বাড়ি হবে, এটা প্রত্যেক মানুষের স্বপ্ন। প্রতিটি চাকুরিজীবী চায় তার একটা বাড়ি হোক। এটা যদি আপনারও স্বপ্ন হয়ে থাকে, আর আপনি যদি প্রথমবার বাড়ি কিনতে যান, তাহলে এই খবরটি আপনার দারুণ কাজে লাগতে পারে। বাড়ি বা যে কোনও সম্পত্তি কেনার আগে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। নইলে আজকের দিনে কখন কে প্রতারণা করে চলে যাবে, টেরও পাবেন না। আজ আমরা আপনাকে এমন কিছু বিষয় সম্পর্কে বলব, সেগুলি বাড়ি কেনার সময় মাথায় রাখলে, আপনি প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে পারবেন।
বাড়ি, ফ্ল্যাট বা অন্য কোনও সম্পত্তি কেনার সময়, কিছু নথি অবশ্যই পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। নাহলে যে কেউ আপনাকে বোকা বানাতে পারে। তার দুষ্কর্মের জন্য মূল্য চোকাতে হতে পারে আপনাকে। তাই আমরা এখানে বাড়ি কেনার সময় প্রয়োজনীয় নথিপত্র সম্পর্কে বিশদ তথ্য দিচ্ছি। কেনার আগে যাচাই করে নিন যে আপনাকে সব নথিপত্র দেওয়া হচ্ছে কি না।
কী কী নথি লাগবে?
- সবকিছুর আগে, আপনি যার থেকে সম্পত্তি কিনছেন, তার ‘টাইটেল’ এবং ‘ওনারশিপ’ যাচাই করা প্রয়োজন। এগুলি ছাড়া আপনার সম্পত্তি কেনা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
- আপনি যদি কারও কাছ থেকে রিসেলে সম্পত্তি কিনতে যান, তাহলে আপনার কাছে তার চ্যানেলের সম্পূর্ণ বিবরণ থাকা উচিত। অর্থাৎ, এর আগে তিনি কার কাছ থেকে সম্পত্তিটি কিনেছিলেন, সেই বিষয়ের প্রামাণ্য নথি দরকার। একে ‘চ্যানেল ডকুমেন্ট’ বলা হয়। এতে সম্পত্তিটির আগের মালিক কে ছিলেন, কতদিন পর্যন্ত তাঁর মালিকানায় ছিল সেটি, এই সব বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য থাকে।
- এরপর আপনার দরকার ‘এনকামব্র্যান্স ডকুমেন্ট’। এতে সম্পত্তিটি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য থাকে। যেমন, কেউ সম্পত্তি বন্ধক রাখলে, তার কোনো পাওনা আছে কি না, এই সব তথ্য থাকে।
- অন্যান্য নথির মতোই গুরুত্বপূর্ণ সম্পত্তির ‘পজেশন লেটার’। এই নথিতে, ডেভেলপার ক্রেতার নামে সম্পত্তিটির দখল লিখে দেয়। কবে থেকে এর দখল দেওয়া হচ্ছে সেই তথ্যও এতে থাকে।
- আপনাকে ‘মর্টগেজ লেটার’ও নিতে হবে। সম্পত্তিটির উপর কোন ধরনের ঋণের বোঝা আছে কি না সেই তথ্য থাকে এই নথিতে। সেই সঙ্গে, যদি আপনি ঋণ নিয়ে বাড়ি কেনেন, সেই ক্ষেত্রে এটি কোল্যাটারাল হিসাবে ব্যবহার করা যায়।
- এছাড়া, আপনাকে ‘ট্যাক্স পেমেন্ট লেটার’ও নিতে হবে। এতে এই পর্যন্ত সম্পত্তিটির জন্য কত কর দেওয়া হয়েছে, বা কোনও কর বাকি আছে কিনা, তা জানা যায়।