নয়া দিল্লি: আপনি কি ‘জেনারেশন জেড’ বা ‘জেন জেড’-এর সদস্য? অর্থাৎ, ১৯৯৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে আপনার জন্ম? সদ্য চাকরি পেয়েছেন, সারা দিন মুখে রক্ত তুলে খেটেও হাতে টাকা থাকছে না? আসলে এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার বিকাশ দেখেছে। এর পরিবর্তনের সঙ্গে পুরোপুরি খাপও খাইয়ে নিয়েছে। কিন্তু, সদ্য প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রজন্মের লোকজন অর্থের বিষয়ে উদাসীন। আর্থিক ক্ষেত্রে তারা অনেক সময়ই বড় ধরনের ভুল করে বসে। যার জেরে পরে পস্তাতে হয়। প্রথম বেতন পেয়ে অতি উৎসাহে কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলেন অনেকেই। আসুন আজ দেখে নেওয়া যাক, প্রথম চাকরি পাওয়ার জেন জেড-এর সদস্যরা সাধারণত কী কী ভুল করে থাকে –
ভুল করেও এই ভুলগুলো করবেন না
অত্যধিক ব্যয় – প্রথম বেতন পাওয়ার পর, মানুষ প্রায়শই পার্টি করতে বা তাদের শখ পূরণে অতিরিক্ত ব্যয় করে ফেলে। অহেতুক খরচ করে। সঞ্চয়ের জন্য আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। এমন পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় এড়িয়ে চলা উচিত।
বাড়ি ভাড়া সবচেয়ে বড় ব্যয় – আর্থিক উপদেষ্টাদের মতে, কোনও ব্যক্তিরই তার বেতনের ৩০ শতাংশের বেশি বাড়ি ভাড়া পিছু ব্যয় করা উচিত নয়। ধরুন আপনার বেতন ২৫,০০০। তাহলে আপনার এমন বাড়ি ভাড়া নেওয়া উচিত, যার ভাড়া মাসে ৭,০০০-এর বেশি নয়।
সঞ্চয়ের অর্থ খরচ করবেন না – আপনার সঞ্চয়ের অর্থ কোনও মূল্যেই ব্যয় করা উচিত নয়। সবসময় ব্যয়ের থেকে সঞ্চয়ের দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। প্রয়োজনের সময় এই অর্থ আপনার কাজে লাগবে।
ধার করা এড়িয়ে চলুন – খরচের দিকটা ভালভাবে পরিচালনা করার দিকে সবথেকে বেশি নজর দেওয়া উচিত। ছোটখাটো প্রয়োজনে ঋণ নেওয়া বা বন্ধুদের কাছ থেকে ধার করা এড়িয়ে চলুন।
ভবিষ্যৎ প্রয়োজনের কথা মাথায় রাখুন – বর্তমান সময়ে থাকা ভালো বিষয়। তবে, আপনাকে ভবিষ্যতর কথাও ভাবতে হবে। কীভাবে আপনি ভবিষ্যতের চাহিদা মেটাবেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতের জন্য আজকের উপার্জনের কিছু অংশ সঞ্চয় করার দিকে মন দিন। এর জন্য, আপনি পিপিএফ, এসআইপি বা ব্যাঙ্ক ডিপোজিটে অর্থ লগ্নি করতে পারেন।