মুদ্রাস্ফীতির চাপে জর্জরিত দেশের নাগরিক। নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত সকল নাগরিক সংসার চালাতে নাভিঃশ্বাস ওঠার জোগাড়। করোনা কাঁটা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আগুন লেগেছে যেন ভারতের হেঁশেলে। এই পরিস্থিতিতে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের আকাশছোঁয়া দাম। চলতি মাসে দুইবার বাড়ানো হয়েছে রান্নার গ্যাসের দাম। এর ফলে হাজার টাকা টপকে গিয়েছে রান্নার গ্যাসের দাম। জ্বালানির কোঁপ থেকে মধ্যবিত্তকে সামান্য স্বস্তি দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গতকাল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, সিলিন্ডার পিছু ভর্তুকি দেওয়া হবে। ভর্তুকির পরিমাণ ২০০ টাকা। তবে সকলেই সেই ভর্তুকি পাবেন না। নির্দিষ্ট শর্ত পূরণে মিলবে ২০০ টাকা ভর্তুকি। শর্তটি কী? কারা কারা পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারের এই ভর্তুকি?
এলপিজিতে ভর্তুকির ঘোষণা :
শনিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী টুইটে জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার অন্তর্ভুক্ত ৯ কোটি সুবিধাভোগীদের প্রতি গ্যাসে (১২ টি সিলিন্ডার অবধি) ২০০ টাকার ভর্তুকি দেব আমরা। আমাদের মা-বোনদের এতে সাহায্য় হবে।’
কারা পাবেন এই ভর্তুকি?
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার মধ্যে যাঁরা অন্তর্ভুক্ত তাঁরাই কেবলমাত্র এই ভর্তুকি পাবেন। উল্লেখ্য, উজ্জ্বলা যোজনার সুবিধাভোগী সহ সকল ক্রেতা বাজার দামেই এলপিজি সিলিন্ডার কিনে থাকেন। আগে ভর্তুকি মিললেও ২০২০ সালের জুন মাস থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সেই ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে দেশের রাজধানী শহরে ১৪.২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের মূল্য ১০০৩ টাকা। কিন্তু এখন থেকে উজ্জ্বলা যোজনার সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সিলিন্ডার পিছু ২০০ টাকা ভর্তুকি জমা হবে। অর্থাৎ এবার থেকে তাঁদের সিলিন্ডার পিছু খরচ হবে ৮০৩ টাকা। তবে বছরে ১২ টি সিলিন্ডারের ক্ষেত্রেই এই ভর্তুকি মিলবে।
প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা কী?
২০১৬ সালে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এই যোজনা শুরু করেছিল। মূলত গ্রামাঞ্চলের যেখানে এখনও কাঠ, কয়লা ও ঘুটে দিয়ে রান্না করা হয় সেইসব ঘরে ঘরে এলপিজি সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়াই ছিল এই যোজনার মূল উদ্দেশ্য।
কারা কারা উজ্জ্বলা যোজনার অন্তর্ভুক্ত?
তফসিলি উপজাতি, তফসিলি জনজাতি, পিছিয়ে পড়া শ্রেণি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ), অন্ত্যদায়া অন্ন যোজনা (AAY), চা বাগানের উপজাতি, জঙ্গলবাসী, দ্বীপে বসবাসকারী ও দরিদ্র নাগরিকরা এই যোজনার মধ্যে পড়েন। এই