প্রতিদিনের রাস্তাঘাটে চলতি পথে বিভিন্ন ধরনের ছবি চোখে পড়ে। অফিসের সময়ও ট্রাফিক জ্যামে বিভিন্ন ছবি চোখে পড়ে। বাসের জানালা দিয়ে তাকালেই দেখা যায় বাইক চালাচ্ছেন অথচ মাথায় হেলমেট নেই অধিকাংশেরই। কারোর কারোর তো রয়েছে তবে তাতে লাগানো নেই স্ট্র্যাপ। আবার কারোর হেলমেট তুবড়ে গিয়েছে। কোনওরকমে পুলিশের জরিমানা থেকে বাঁচতে মাথায় দেওয়াই যা সার। তার কোনও কার্যকারিতা নেই। ফলত কোনও দুর্ঘটনার কবলে পড়লে মাথা বাঁচানো যায় না। এরকম ঘটনার নজির মিলতেই ফাঁকি দেওয়ার পথও বন্ধ করার কথা ভেবেছে সরকার। অনেকটা ‘তুমি বুনো ওল হলে, আমি বাঘা তেঁতুল’ -এর মতো অবস্থা। শুধুমাত্র হেলমেট পরলেই চলবে না। তা যথাযথভাবে পরতে হবে। নয়তো কঠোর জরিমানা করা হবে।
সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনাা কমাতে সরকারের তরফে কিছু কঠোর পদক্ষেপ ও নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। সেই উদ্দেশে ১৯৯৮ সালের মোটর ভেহিকেলস আইনে নতুন কিছু সংযোজন করেছে সরকার। এই নয়া নীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি দু-চাকায় কেউ সঠিকভাবে হেলমেট না পরে তাহলে ১০০০ টাকা জরিমানা করা হবে।
কোন কোন ক্ষেত্রে জরিমানা করা হবে?
মোটরবাইক চালক ও তার সওয়ারি যদি বেল্ট না বেঁধেই হেলমেট পরতে হবে।
হেলমেটের বেল্ট বাঁধা থাকতে হবে।
হেলমেটে ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (BIS) সার্টিফিকেশন থাকতে হবে বা আইএসআই (ISI) চিহ্ন থাকতে হবে।
এই নিয়মের একটিও মেনে চলা না হলে জরিমানা করা হবে।
মোটর ভেহিকেলস আইন ১৯৯৮ এর ১৯৪ডি ধারা অনুযায়ী, ‘১২৯ ধারায় প্রণীত বিধি লঙ্ঘন করে মোটরসাইকেল চালায় তাকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। এবং তিনমাসের জন্য তাঁর লাইসেন্স বাতিল করা হবে।’