নয়া দিল্লি: শীত পড়তে না পড়তেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে ক্রমবর্ধমান দূষণ। দিল্লিতে সবথেকে বেশি দূষণ হলেও কলকাতাও পিছিয়ে নেই। সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে দূষণের জেরে। তবে সরকার বা প্রশাসন শুধুমাত্র সেটা নিয়েই চিন্তিত নয়। আশঙ্কা বাড়ছে আর্থিক পরিস্থিতি নিয়েও। অনেক ধরনের ব্যবসা নষ্ট হচ্ছে। আবার কোনও কোনও ব্যবসা ধাক্কাও খাচ্ছে।
দিল্লিতে দূষণের জেরে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছে যে সরকার আবার অড-ইভেন পদ্ধতি প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দীপাবলির সময় বাজি ফাটানোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নাড়া পোড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্মগ টাওয়ার চালু করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
দিল্লিতে বাতাসের মান এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যে মানুষ ঘর থেকে বেরনোই প্রায় কমিয়ে দিয়েছে। মুম্বইতেও পরিস্থিতি খুব একটা ভাল নয়। উৎসবের মরসুম হলেও রেস্তোরাঁ এবং বারগুলির বিক্রি কমে গিয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর তাদের বিক্রি ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে বলে সূত্রের খবর।
তবে বিক্রি বেড়েছে এয়ার পিউরিফায়ারের। একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিনে বাড়ি এবং গাড়ির পিউরিফায়ার বিক্রি ৭০ শতাংশ থেকে বেড়ে ১০০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে, মাস্ক বিক্রিতেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। মাস্কের বিক্রিও ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে একধাক্কায় প্রায় ১০০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে।