নয়া দিল্লি: বর্তমানে হেল্থ ইনস্যুরেন্স বা স্বাস্থ্য বিমা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। কোভিড মহামারীর পর দেশের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য বিমা (Health Insurance) নেওয়ার প্রবণতা আরও বেড়েছে। চাহিদা অনুযায়ী সরকারির পাশাপাশি বহু বেসরকারি সংস্থাও স্বাস্থ্য বিমা চালু করেছে এবং নানান অফার দিচ্ছে। কিন্তু, অনেক সময়ই স্বাস্থ্য বিমা করানোর সময় এজেন্ট যে সুবিধা পাওয়ার কথা বলেন, প্রয়োজনের সময় সেটা পাওয়া যায় না। ফলে স্বাস্থ্য বিমা নেওয়ার সময় সঠিকভাবে বেছে নেওয়া জরুরি। যদি এমন একটি স্বাস্থ্য বিমা পাওয়া যায়, যেটি কেবল অসুস্থ হওয়ার পর আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নেয় না, আপনাকে অসুস্থ হতেও দেয় না? অনেকেই ভাবছেন, এমনটা কি আদৌ হতে পারে? হ্যাঁ, বাজারে এমন স্বাস্থ্য বিমাও রয়েছে। সেটি ঠিক কী জেনে নেওয়া যাক।
কেবল অসুস্থ হওয়ার পর নয়, আপনাকে অসুস্থ হতেও দেয় না, এরকম একটি বিমা হল, ‘প্রতিরোধমূলক-যত্ন স্বাস্থ্য বিমা’। চাহিদার কথা বিবেচনা করে আজকাল অনেক স্বাস্থ্য বিমা কোম্পানি নতুন ধরনের ‘প্রতিরোধমূলক-যত্ন স্বাস্থ্য বিমা’ প্রদান করছে।
প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য বিমা কী?
এটি এমন একটি স্বাস্থ্য বিমা, যেটর মাধ্যমে সময়ে সময়ে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, স্ক্রিনিং এবং টিকা দেওয়া হয়। এছাড়া ব্যক্তির ডাক্তারের সঙ্গে সময়মত পরামর্শের উপরেও জোর দেওয়া হয়। অসুখ গুরুতর হওয়ার আগেই তার সম্পর্কে তথ্য পেতে সহায়তা করে। স্বাভাবিকভাবে এটি সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস করে।
প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য বিমা আপনার জন্য কতটা উপকারী?
সময়ে সময়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করার ফলে প্রাথমিক পর্যায়েই কোনও গুরুতর রোগ সম্পর্কে জানা যাবে। ফলে সঠিক সময়ে রোগের চিকিৎসা সম্ভব হয়। শুধু তাই নয়, টিকা পদ্ধতির মাধ্যমে অনেক রোগ হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করা হয়। অসুখ গুরুতর হওয়ার আগেই ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা সম্পর্কেও জানতে পারবেন, ফলে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা করা সম্ভব। ফলে উদ্বেগ ও ঝুঁকি অনেকটা কমবে।
বিমা কোম্পানিগুলিও লাভবান হয়
প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য বিমা কেবল গ্রাহকের জন্য সুবিধাজনক নয়, এটি বিমা কোম্পানিগুলিকেও উপকৃত করে। কোনও রোগ গুরুতর হওয়ার আগেই মানুষ জানতে পারে এবং তার চিকিৎসা শুরু করতে পারে। ফলে রোগ গুরুতর হওয়ার পর বিমা কোম্পানিগুলোকে অতিরিক্ত হাসপাতালের বিল ইত্যাদির জন্য অনেক টাকা খরচ করতে হয় না।