মুম্বই: একদিকে চলতি বছরে বর্ষা ঢুকেছে দেরিতে। তার উপর, দেশের বেশ কিছু অংশে প্রয়োজনের তুলনায় কম বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এর জোড়া বিপদের জেরে দেশের বাজারে ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলেছে বিভিন্ন শাক-সবজি ও ডালের দাম। কারণ, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ নেই। সরবরাহ সবথেকে কম টমেটোর। যার জেরে শিগগিরই টমেটোর ১০০ টাকা প্রতি কেজি বা তার বেশি হতে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহেই টমেটোর দাম ৮০ টাকা প্রতি কেজি ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছরও মুম্বই, কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন শহরে খুচরো বাজারে টমেটোর দাম ১০০ টাকা প্রতি কেজির বেশি হয়েছিল। এবারও সেই প্রবণতাই দেখা যাচ্ছে।
রবিবার কোলার পাইকারি এপিএমসি বাজারে ১৫ কেজি ওজনের একেক ক্রেট টমেটোর বিক্রি হয়েছে ১,১০০ টাকায়। শহরের খুচরো বাজারে এই টমেটো পৌঁছলে দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে কোলারের এক টমেটো চাষী জানিয়েছেন, বিভিন্ন কারণে গত বছরের তুলনায় এই বছর টমেটোর ফলন অনেক কম হয়েছে। গত বছর শিমের দাম আকাশচুম্বী হয়েছিল। তাই কোলারের অনেক টমেটো চাষীই লাভের আশায় এই বছর শিম চাষ করেছেন। কিন্তু, বৃষ্টির অভাবে সেই ফসলও শুকিয়ে গিয়েছে। তাই স্বাভাবিকের তুলনায় এই বছর কোলারে মাত্র ৩০ শতাংশ টমেটোর ফলেছে।
তবে, শুধু টমেটো নয়, প্রায় সকল শাক-সবজিই স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি শিম পাওয়া যাচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকাযর আশপাশেষ প্রতি কেজি ক্যাপসিকামের দাম ৮০ টাকা ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ব্যতিক্রম শুধু পেঁয়াজ ও আলু। একমাত্র এই দুই সবজিরই দাম এখনও বাড়েনি এবং ফলন অনুযায়ী এই দুই সবজির দাম অদূর ভবিষ্যতে বাড়বে না বলেই আশা করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন শহরের খুচরো বাজারে ইতিমধ্যেই এই মূল্যবৃদ্ধির আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। ভোপালে কয়েক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত, টমেটো বিক্রি হচ্ছিল প্রতি কেজি ১০ টাকা করে। এখন তা প্রায় ১০০ টাকা ছুঁই ছুঁই। কলকাতার বাজারেও গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৭০-৮০ টাকায়। শাক-সবজির পাশাপাশি দাম বেড়েছে ডিমেরও। কয়েকদিন আগেও যেখানে পোলট্রির ডিম একেকটি বিক্রি হচ্ছিল ৫-৬ টাকায়, এখন সেই ডিমই বিক্রি হচ্ছে ৭-৮ টাকায়।