জয়পুর: আপনার প্যান কার্ডের তথ্য অপব্যবহার করা হচ্ছে না তো? আপনার প্যানের তথ্য ব্যবহার করে কেউ জালিয়াতি করছে না তো? হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি এমনটা হতে পারে। যেমন ভাবতে পরেননি রাজস্থানের ভিলওয়ারায় সঞ্জয় কলোনির বাসিন্দা কিষাণগোপাল চাপারওয়াল। এই বিশেষভাবে সক্ষম দোকান মালিকও কোনওদিন ভাবতে পারেননি প্যানের তথ্য ব্যবহার করে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা হতে পারে। কিন্তু, ঠিক এমনটাই ঘটেছে তাঁর সঙ্গে। হঠাৎ, তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর বিভাগ। নোটিস অনুযায়ী তিনি ১২.২৩ কোটি টাকার লেনদেন করেছেন। যদিও কিষাণগোপালের দাবি, এই বিরাট মূল্যের লেনদেন তিনি করেননি। করেছে সম্ভবত কিছু প্রতারক, যার জেরে ঘোর সমস্যার পড়েছেন তিনি।
২৮ মার্চ ডাকযোগে এসেছিল আয়কর বিভাগের নোটিসটি। সেই নোটিস দেখে কিষাণগোপাল চাপারওয়াল এবং তাঁর পরিবার হতবাক হয়ে গিয়েছেন। কিষাণগোপাল একটি সামান্য স্টেশনারি দোকান চালান। মাঝে মাঝে বিবাহ অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেন। কোটি কোটি টাকার লেনদেন করা তাঁর পক্ষে অসম্ভব। এই নোটিস পাওয়ার পর, তিনি একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের পরামর্শ নেন। ওই ব্যক্তি তাঁকে জানিয়েছেন, তাঁর প্যানের তথ্য ব্যবহার করেছে মুম্বই এবং সুরাটের দুটি হিরে সংস্থা। সম্ভবত সংস্থাগুলি ভুয়ো এবং কয়েক কোটি টাকার জাল লেনদেন করার জন্য কিষাণগোপালের প্যান তথ্যের অপব্যবহার করেছে।
এরপরই কিষাণগোপাল চাপারওয়াল, সুভাষ নগর থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, কেউ তার আর্থিক তথ্যের অপব্যবহার করছে। কিষাণগোপাল বলেছেন, “ঋণ নিয়ে দোকান দিয়েছি। সেই ঋণ পরিশোধের কিস্তিই দিতে পারি না। প্রতি মাসে আমার আয় ৮,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা। এই সব ভুয়ো সংস্থার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। কিছু প্রতারক আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ১২.২৩ কোটি টাকার লেনদেনের বিবরণ জমা দেওয়ার জন্য আইটি বিভাগ আমাকে একটি নোটিস পাঠিয়েছে। আমি কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে ত্রাণ পাওয়ার জন্য আবেদন করছি।”