মুম্বই: রেমন্ড-কর্তার ৩২ বছরের বৈবাহিক জীবনে ইতি পড়েছে। তাঁর স্ত্রী নওয়াজ মোদী ৭৫ শতাংশ সম্পত্তির দাবি জানিয়েছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়। স্বাভাবিকভাবেই রেমন্ড গোষ্ঠীতে নিযুক্ত কর্মীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। এবার ব্যবসার কী হবে? আদৌ ব্যবসা চলবে তো? অবশেষে সকলকে চিন্তামুক্ত করলেন রেমন্ড-কর্তা। কর্মী ও বোর্ড মেম্বারদের আশ্বস্ত করে রেমন্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গৌতম সিঙ্ঘানিয়া (Gautam Singhania) বলেন, ব্যবসা স্বাভাবিকভাবেই চলবে। অর্থাৎ তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যা ব্যবসার উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন।
চলতি মাসের গোড়ায় কর্মচারী এবং রেমন্ডের বোর্ড সদস্যদের কাছে একটি অভ্যন্তরীণ মেইল দিয়ে গৌতম সিঙ্ঘানিয়া তাঁর স্ত্রী নওয়াজের সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছিলেন। তবে ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কিত বিষয় সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। রেমন্ড-কর্তা স্পষ্ট বলেছিলেন, “আমার পরিবারের মর্যাদা বজায় রাখা আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
এবার ব্যবসা স্বাভাবিকভাবে চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে কর্মী ও বোর্ড সদস্যদের রেমন্ড কর্তা আরেকটি মেইল করেছেন। সেখানে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “কোম্পানি যাতে ঠিকমতো চলতে পারে, সে বিষয়ে চেয়ারম্যান ও এমডি হিসাবে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং ব্যবসার প্রতি সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এমনকি আমার জন্য এই কঠিন সময়েও আমি আপনাকে আশ্বস্ত করছি যে, ব্যবসা যথারীতি চলবে।”
তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যা যে ব্যবসায় প্রভাব ফেলেনি, সেকথাও উল্লেখ করেছেন রেমন্ড-কর্তা। ব্যবসার পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি জানান, “গত কয়েক মাস ধরে আমরা আমাদের ব্যবসাগুলিকে উল্লেখযোগ্যভাবে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছি এবং শেষ ৯টি ত্রৈমাসিকে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে সেরা রয়েছি।”
গৌতম সিঙ্ঘানিয়া আরও জানান, MPPL-এর (Maini Precision Products Ltd) অধিগ্রহণের মাধ্যমে মহাকাশ, প্রতিরক্ষা, বৈদ্যুতিক যানবাহনের উপাদান-সহ সানরাইজ সেক্টরে প্রবেশের ফলে ব্যবসা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে এবং মুম্বাই মেট্রোপলিটন অঞ্চলের রিয়েল এস্টেট প্রকল্পের পুরস্কার মিলেছে। ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা থাকা সত্ত্বেও সংস্থার কর্মচারী, গ্রাহক এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে তিনি অবিচল বলে জানান রেমন্ড-কর্তা।