মুম্বই: ধনকুবেরের শিল্পপতি গৌতম সিংঘানিয়ার বিবাহবিচ্ছেদকে কেন্দ্র করে জোর নাটক। দীপাবলির সময়, যখন গোটা দেশ আলোর উৎসবে মেতে উঠেছিল, সেই সময়ই স্ত্রী নওয়াজ মোদীর সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছিলেন রেমন্ডস গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর। সূত্রের খবর, বিচ্ছেদের মীমাংসা হিসেবে গৌতম সিংঘানিয়ার মোট সম্পদের ৭৫ শতাংশ দাবি করেছেন নওয়াজ মোদী সিংঘানিয়া! তবে, এটা শুধুমাত্র তাঁর নিজের জন্য নয়, এই সম্পদ তাঁদের দুই মেয়ে, নীহারিকা এবং নিসার জন্যও বলে জানিয়েছেন নওয়াজ। গৌতম সিংঘানিয়ার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার।
সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে স্ত্রীর এই বিশাল দাবি মেনে নিয়েছেন রেমন্ডস কর্তা। তবে, তিনি একটি পারিবারিক ট্রাস্ট তৈরি করে, সেই ট্রাস্টে সমস্ত পারিবারিক সম্পদ হস্তান্তর করার সুপারিশ করেছেন। যে ট্রাস্টের একমাত্র ব্যবস্থাপক ট্রাস্টি হিসাবে থাকবেন গৌতম সিংঘানিয়া নিজে। সেই ক্ষেত্রে, তাঁর মৃত্যুর পরই তাঁর সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতে পারবেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। নওয়াজ মোদী এই সমাধানে খুশি নন বলে জানা গিয়েছে।
ট্রাস্ট আইন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোনও ট্রাস্টের তিনজন প্রাথমিক স্টেকহোল্ডার থাকে। ‘সেটলার’, যিনি ট্রাস্টে তহবিল প্রদান করেন। ‘ট্রাস্টি’, যিনি প্রশাসক হিসাবে কাজ করেন। আর থাকে ট্রাস্টের সুবিধাভোগী পক্ষ। তবে, যে কোনও ট্রাস্টই সাধারণত আইনের থেকেও বেশি ব্যক্তিগত সম্পর্ক নির্ভর হয়। একজন ট্রাস্টিও সেটলারও হতে পারে। তবে, একজনের পক্ষে তিনটি ভূমিকাতেই অবতীর্ণ হওয়া সম্ভব নয়। সেই ক্ষেত্রে ট্রাস্ট গঠনের উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে এবং সেই ট্রাস্ট তখন ট্রাস্ট আইন নয়, বরং চুক্তি আইনের বিধানের আওতায় আসবে।
প্রসঙ্গত, ১৩ নভেম্বর স্ত্রী নওয়াজের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছিলেন গৌতম সিংঘানিয়া। ১৯৯৯ সালে আইনজীবী নাদির মোদীর মেয়ে, নওয়াজের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। তার আগে আরও আট বছর ধরে সম্পর্ক ছিল তাঁদের। বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও, দুই মেয়ে নীহারিকা এবং নিসার জন্য তাঁরা তাঁদের সেরাটা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন গৌতম সিংঘানিয়া।