RBI: ‘নো কস্ট ইএমআই’ দিয়ে কেনাকাটা কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? আরবিআই-এর নয়া পরিকল্পনা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Nov 19, 2023 | 1:52 AM

RBI: দেশে 'চকোলেট'-এর মতো ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। এতে বেশিরভাগ ঋণই ১০,০০০ টাকার কম। ব্যাঙ্কগুলিও তুমুল প্রতিযোগিতার বাজারে এসব ঋণ জনগণকে দিচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) এটিকে ব্যাঙ্কগুলির ব্যবসার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছে এবং এই বিষয়ে বেশ কয়েকবার ব্যাঙ্কগুলিকে সতর্ক করেছে। এবার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।

RBI: নো কস্ট ইএমআই দিয়ে কেনাকাটা কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? আরবিআই-এর নয়া পরিকল্পনা
আরবিআই।
Image Credit source: RBI website

Follow Us

নয়া দিল্লি: যখন থেকে ‘নো কস্ট ইএমআই’ বা ‘বাই নাও, পে লেটার’-এর মতো ছোট ঋণের বিকল্প বাজারে এসেছে, তখন থেকে অ্যাপল, আইফোন থেকে শুরু করে ছোট-বড় অনেক ধরনের কেনাকাটা করা সাধারণ মানুষের জন্য সহজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) এই ধরনের ছোট ব্যক্তিগত ঋণ এবং ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের দিকে নজর দিয়েছে। এছাড়া ব্যাঙ্কগুলোর জন্য এই সংক্রান্ত নিয়মবিধি কঠোর করা হয়েছে। তাহলে কি ‘নো কস্ট ইএমআই’ বা ‘বাই নাও, পে লেটার’-এর মতো বিকল্পগুলির মাধ্যমে কেনাকাটা শীঘ্রই বন্ধ হবে? এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

দেশে ‘চকোলেট’-এর মতো ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। এতে বেশিরভাগ ঋণই ১০,০০০ টাকার কম। ব্যাঙ্কগুলিও তুমুল প্রতিযোগিতার বাজারে এসব ঋণ জনগণকে দিচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) এটিকে ব্যাঙ্কগুলির ব্যবসার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছে এবং এই বিষয়ে বেশ কয়েকবার ব্যাঙ্কগুলিকে সতর্ক করেছে। এবার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।

 

ব্যাঙ্কগুলিকে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উন্নতি করতে হবে

এই ছোট-ছোট ঋণ NPA-তে রূপান্তর করা উচিত নয়। NPA হল ছোট ঋণ বা ব্যাঙ্কের তরফে গ্রাহককে ৯০ দিনের জন্য দেওয়া অ্যাডভান্স। আরবিআই বলেছে যে, এই ধরনের ঋণের সঙ্গে ঝুঁকি রয়েছে। সেই ঝুঁকি মেটাতে ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের ব্যালেন্সসিটে আগের থেকে আরও বেশি অর্থ আলাদা রাখতে হবে। অর্থাৎ ব্যাঙ্কগুলিকে বর্তমানে এনপিএ-গুলির জন্য আলাদা তহবিলের ব্যবস্থা করতে হবে।

RBI-এর উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে

NPA অল্প পরিমাণের ঋণ হলেও আরবিআই আশঙ্কা করছে যে, এটি দেশের আর্থিক ব্যবস্থায় ঝুঁকি বাড়াবে। কারণ এই সমস্ত ঋণ নিরাপদ নয়। অর্থাৎ, এই ঋণের বিনিময়ে জনগণ কোনও সম্পদ বন্ধক রাখে না। এই ধরনের ঋণ সম্পর্কিত পরিসংখ্যান RBI-এর উদ্বেগ বাড়িয়েছে। দেশে অনিরাপদ ঋণ গ্রহণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ শতাংশ, যেখানে দেশে সাধারণ ঋণ গ্রহণের স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি মাত্র ১২ থেকে ১৪ শতাংশ।

নো কস্ট ইএমআই কি বন্ধ হবে?

কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ছোট ঋণ নিয়ে কড়া পদক্ষেপের সরাসরি প্রভাব পড়বে ব্যাঙ্কিং ও অর্থ খাতে। ব্যাঙ্ক ও ফাইন্যান্স কোম্পানির জন্য এবার এনপিএ ধরনের ঋণ ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে। ফলে এই ঋণগুলি গ্রাহকদের না দেওয়ার চেষ্টা করবে। গ্রাহকদের কাছ থেকে ক্রেডিট কার্ড বা অন্যান্য ধরনের EMI-তে সুদ নেওয়াও শুরু করতে পারে। তবে RBI-এর এই নিয়মগুলি বাড়ি, শিক্ষা, যানবাহন এবং সোনার ঋণ ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

Next Article