নয়া দিল্লি: বছরের প্রথম দিনেই রেকর্ড পরিমাণ কন্ডোম অর্ডার হয়েছিল অনলাইনে। ২০২৩ সালে দক্ষিণ দিল্লির এক ব্যক্তি একাই ৯৯৪০টি কন্ডোম অর্ডার করেছিলেন! বিগত কয়েক বছরে বিক্রির পরিসংখ্য়ান দেখলেই বোঝা যাবে, চড়চড়িয়ে বাড়ছে কন্ডোমের বিক্রি। তবে কি হঠাৎ ভারতীয়রা সচেতন হয়ে উঠলেন? তথ্য কিন্তু বলছে অন্য কথা।
পরিবার পরিকল্পনা জরুরি। তবে বিগত কয়েক বছরে কন্ডোম বিক্রির যে পরিসংখ্যান দেখা গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে পরিবার পরিকল্পনা নয়, বরং যৌন জীবনকে মশলাদার করতেই বিক্রি বাড়ছে কন্ডোমের। ডটেড, রিবড, গ্লো ইন দ্য ডার্কের মতো ভ্য়ারিয়েন্টের যেমন চাহিদা বাড়ছে। তেমনই চকোলেট, স্ট্রবেরির বাইরেও কন্ডোমের হরেক রকমের স্বাদে মজেছে ভারতীয়রা। কন্ডোমের এই রকমফেরই ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে কন্ডোমের বিক্রি দ্বিগুণ করেছে।
আইকিউভিআইএ কনজিউমার হেলথ রিটেলের অডিটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারতে ১৭৫৫ কোটি টাকার বিক্রি হয়েছে। ২০২২ সালে যেখানে কন্ডোমের বিক্রি ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল, সেখানেই গত বছরে কন্ডোমের বিক্রি ১৩ শতাংশ বৃদ্ঘি পেয়েছে, যা বিগত ৫ বছরে সর্বোচ্চ।
বিগত কয়েক বছরে যৌনতা নিয়ে রাখ-ঢাক কমে আসা এবং অনলাইনে অর্ডারের সুবিধা কন্ডোম বিক্রিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
ম্যানকাইন্ড ফার্মা, যারা ম্যানফোর্স কন্ডোম তৈরি করেন, সেই সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব জুনেজা বলেন, “আগে কন্ডোম বিক্রি হত শুধুমাত্র জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য। যুব প্রজন্ম মনে করত, কন্ডোম ব্যবহার তাদের যৌনতৃপ্তি কমে যায়। কিন্তু এই ধারণা এখন বদলাচ্ছে। নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের কন্ডোম যুব প্রজন্মকে কন্ডোম ব্যবহারে আগ্রহী করে তুলছে।”
তিনি আরও জানান, আগে পুরুষরাই মূলত কন্ডোমের স্বাদ বা ধরন নির্ধারণ করতেন। এখন সেই ধারণাও বদলাচ্ছে। মহিলারাই বরং বেছে নিচ্ছেন কোন কন্ডোম ব্যবহার করা হবে।
ভারতের কন্ডোমের বাজারের ৩০ শতাংশই এখন ম্যানফোর্সের দখলে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডুরেক্স, ১৪.৯ শতাংশ বিক্রি তাদের। তৃতীয় স্থানে রয়েছে টিটিকে হেলথকেয়ারের কন্ডোম স্কোর। মোট কন্ডোমের বিক্রির ৮.৫ শতাংশ শেয়ার তাদের। গোদরেজ কনজিউমার প্রোডাক্টের কামাসূত্র-রও বিক্রি বেড়েছে। ৮ শতাংশ বিক্রি তাদের। এই সংস্থার ‘ইনভিসিবল’ কন্ডোম ব্যাপক জনপ্রিয়। তারা নতুন ভেগান, কেমিক্যাল-ফ্রি ও ক্রুয়েলটি ফ্রি ভ্যারিয়েন্টও এনেছে তারা।