মুম্বই: রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি ডিজিটাল বিপ্লবে সাহায্য করার জন্য নির্বাচিত কিছু গোষ্ঠীকে স্মার্টফোনের উপর সাবসিডি দেওয়ার জন্য ইউএসও (ইউনিভার্সিয়াল সার্ভিস অবলিগেশন) ফান্ড ব্যবহার করার কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, দেশে ব্রডব্যান্ড সেলুলার নেটওয়ার্কের জন্য জাতীয় প্রাথমিকতা হিসেবে ৫জি বা পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তির মান চালু করা উচিৎ।
টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের দেওয়া লাইসেন্স ফি এর পাঁচ শতাংশ ইউনিভার্সাল সার্ভিস আবলিগেশন ফান্ডে যায়। গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে টেলিফোন পরিষেবা পৌঁছে দিয়ে সার্বজনীন পরিষেবার লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে তথা ওই এলাকায় মোবাইল পরিষেবা এবং ব্রডব্যান্ডের জন্য পরিকাঠামো তৈরি করতে এই ফান্ড ২০০২ এর এপ্রিল মাসে গঠন করা হয়েছিল। তবে নিয়ন্ত্রক এবং অডিটর জেনারেল (CAG)-এর মতে, এইভাবে একত্রিত করা অর্থের অর্ধেকেরও কম অংশের ব্যবহার এই উদ্দেশ্যে করা হয়।
দ্রুতই পূর্ণ হতে পারে ৫জি পর্যন্ত এগোনোর কাজ
মুকেশ আম্বানি বুধবার ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসে (IMC) ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, ভারতকে ২জি থেকে ৪জি আর ৫জি পর্যন্ত এগোনোর কাজ যত দ্রুত সম্ভব সম্পূর্ণ করা উচিৎ। তিনি বলেন, ‘সামাজিক-অর্থিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সবচেয়ে নীচে থাকা কয়েক লাখ ভারতীয়কে ২জি পর্যন্ত সীমিত রাখার অর্থ তাদের ডিজিটাল বিপ্লবের লাভ থেকে বঞ্চিত করা।’
রিলায়েন্স ইন্ডিস্ট্রিজের সাবসিডিয়ারি জিয়ো ২০১৬-য় মোবাইল ডেটা আর কানেক্টিভিটি শুরু করে এই সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছিল। তারা একন ৪জি এবং ৫জির বাস্তবায়ন আর ব্রডব্যান্ডের মোলিক পরিকাঠামোর বিস্তারের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। ৪জি আর ৫জি নেটওয়ার্কের জন্য স্মার্টফোনের প্রয়োজন। দেশে আনুমানিক ২৮ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী এখনও বেসিক বা ফিচার ফোন ব্যবহার করেন। সেইসব ব্যবহারকারীদের জন্য শুরুয়াতি স্তরের স্মার্টফোন এখনও দামী।
ডিজিটাল সমাবেশের দিকে এগোক ভারত
এটা মাথায় রেখে, মুকেশ আম্বানি বলেন, ভারতে মোবাইল গ্রাহক বেসের অভূতপূর্ব দ্রুত সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে জিনিসপত্রের সস্তা হওয়া সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই ব্যাপারে মনোযোগ দেওয়া উচিৎ যে ভারতে মোবাইল গ্রাহক বেসের অভুতপূর্ব গতির ফলে জিনিসপত্রের সস্তা হওয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হয়েছে। ভারতের উচিৎ যত বেশি সম্ভব ডিজিটাল সমাবেশের দিকে এগোনো না কি অনেক বেশি বিচ্ছিন্নতার দিকে।’
আম্বানি আরও বলেন, ‘ভারতের এটা সুনিশ্চিত করার প্রয়োজন, শুধু পরিষেবা নয় বরং উপকরণ আর আবেদনও সস্তা হোক। ব্যাপক স্তরে জিনিসপত্রের দাম কমানোর সবচেয়ে ভাল উপায় পরিষেবা ছাড়াও অন্য উদ্দেশ্যের জন্য ইউএসও ফান্ডের ব্যবহারের মতো সহায়ক নীতির উপকরণগুলি আর ভবিষ্যতের প্রযুক্তিকে গ্রহণ করা। ইউএসও ফান্ডের ব্যবহার নির্বাচিত টার্গেটেড গোষ্ঠীগুলিকে ভর্তুকি প্রদানের জন্য করা যেতে পারে।’
আরও পড়ুন: RBI গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের মতে করোনার প্রভাব থেকে মুক্ত দেশের অর্থনীতি, GDP বৃদ্ধির গতি বজায় থাকবে