নয়া দিল্লি: বছর শেষে সুখবর। বাড়ল না ঋণের বোঝা। ফের একবার রেপো রেট অপরিবর্তিতই রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। এই নিয়ে টানা ১১ বার রেপো রেটে কোনও বদল আনল না দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ৬.৫ শতাংশেই ধার্য রাখা হল রেপো রেট।
এ দিন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার ঘোষণা করেন। তিনদিনের মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে ৬ সদস্যের মধ্যে ৪:২ অনুপাতে ভোট দেওয়া হয় রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাবে।
প্রসঙ্গত, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে সুদের হারে অন্যান্য ব্যাঙ্ককে ঋণ দেয়, তা হল রোপো রেট। যে সুদের হারে অন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, তাকে রিভার্স রেপো রেট বলা হয়।
রেপো রেট অপরিবর্তিত থাকায়, সাধারণ মানুষের উপরে ঋণের বোঝাও বাড়বে না। বছর শেষে বাড়বে না ইএমআই-র চাপ। তবে এবার রেপো রেট কমারই আশা করেছিল বণিক মহল। রেপো রেট কমলে. বাড়ি-গাড়ির ঋণে সুদের হার কমত।
২০২২ সালের মে মাস থেকে টানা ছয়বার রেপো রেট ২৫০ বেসিস পয়েন্ট করে বাড়িয়েছিল আরবিআই। তবে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে তা লাগাতার অপরিবর্তিত রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে প্রবৃদ্ধির হার জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের তুলনায় ৭.৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬.৬ শতাংশ রেখেছে এমপিসি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে। তিনি বলেন, “জিনিসপত্রের দামের স্থিতিশীলতা গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি জানুয়ারি-মার্চ থেকে কমতে পারে।”