কলকাতা: সুদ থেকে নানাবিধ পরিষেবা, পিএফ অ্যাকউন্ট নিয়ে মানুষের কৌতূহল অনেক। কিন্তু জানেন অবসর জীবনে ঠিক কত টাকা পেনশন পাওয়া যায় এই পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে? বর্তমানে দেশে লাখ লাখ কর্মজীবী মানুষের রয়েছে পিএফ অ্যাকাউন্ট। যে কর্মীর অ্যাকাউন্ট রয়েছে মাসিক হারে তাঁর বেতনের ১২ শতাংশ জমা হয় এখানে। পাশাপাশি যে প্রতিষ্ঠানে তিনি কাজ করেন সেই প্রতিষ্ঠানও সম পরিমাণ টাকা এখানে জমা করে। এখানেই রয়েছে পেনশন ফান্ড। বর্তমানে সেখানে ৮.৩৩ শতাংশ হারে সুদ জমা হয়। সেই নিরিখেই তৈরি পেনশনের অঙ্ক। তবে পেনশন পাওয়া ও পেনশন তোলার ক্ষেত্রে রয়েছে বেশ কিছু নিয়ম।
ইপিএফও-র নিয়ম বলছে, কোনও ব্যক্তির পিএফ অ্যাকাউন্ট এক দশকের বেশি সময় থাকলেই তিনি পেনশন পাওয়ার যোগ্য। তবে পেনশনের টাকা পেতে আবেদন করতে গেলে তার বয়স ৫০ বছরের বেশি হতে হবে। তবে ৫০ বছরেই যে আবেদন করতে হবে এমনটা নয়। কেউ চাইলে ৫৮ বছরের পরেও পেনশনের আবেদন করতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে শতাংশের বিচারে অঙ্কটা কিছুটা নিচের দিকে থাকবে। কিন্তু, ৬০ বছরের বেশি হলে ৮ শতাংশের হারে পেনশন পাবেন ওই ব্যক্তি। অঙ্কটা ঠিক কেমন? ধরা যাক কোনও ব্যক্তি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে বেতন পান। তিনি ওই সংশ্লিষ্ট সময়ে পেনশনের জন্য আবেদন করলে ১২৫০ টাকা করে পেনশন পাবেন। তবে এ ক্ষেত্রে কোন বয়সে তিনি কাজ শুরু করছেন সেটাও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
আরও একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা আরও সহজ হবে। ধরা যাক কোনও ব্যক্তির এখন বয়স ২৩। তিনি ৫৮ বছরে গিয়ে অবসর নিলেন। সে ক্ষেত্রে তার কাজের সময়সীমা দাঁড়াচ্ছে ৩৫ বছর। তাই কাজের সময় বেশি থাকলে স্বাভাবিক নিয়মে পেনশনের অঙ্কও কিছুটা বেড়ে যাবে। কিন্তু, কেউ যদি আগাম পেনশন পেতে চান তাহলে তাঁর সুদের হার অনেকটাই কমে যাবে।