নয়া দিল্লি: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার (Reserve Bank of India) ভাণ্ডার থেকে ৫০০ টাকার নোট (500 Rs Note) উধাও? দেশের অর্থনীতি থেকে রাতারাতি নাকি কোটি কোটি টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতিই তথ্যের অধিকার আইনে এই তথ্য জানতে চেয়েছিলেন মনোরঞ্জন রায় নামে এক সমাজকর্মী। সেখানেই দাবি করা হয়, দেশের অর্থ ভাণ্ডার থেকে হারিয়ে গিয়েছে ৮৮,০৩২.৫ কোটি টাকা মূল্যের ১৭৬.০৬৫ কোটি ৫০০ টাকার নোট। এই তথ্য প্রকাশ হতেই স্বাভাবিকভাবে শোরগোল পড়ে যায়। যদিও শনিবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে শনিবারই জানানো হল, ৫০০ টাকার নোট উধাও হয়ে যাওয়ার তথ্য সম্পূর্ণ ভুল। তথ্যের অধিকার আইন ২০০৫-র অধীনে ব্যাঙ্কনোট প্রিন্টিং প্রেস থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভুল ব্যাখ্য়া করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্য়াঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, প্রিন্টিং প্রেস থেকে রিজার্ভ ব্য়াঙ্ক অব ইন্ডিয়ায় যত নোট আসে, তার সম্পূর্ণ হিসাব থাকে।
আরটিআই-এ প্রকাশিত তথ্যকে সম্পূর্ণ ভুল উল্লেখ করে রিজার্ভ ব্য়াঙ্কের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার কাছে যে সমস্ত নোট আসে, তার সম্পূর্ণ হিসাব থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়, “সম্প্রতিই সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত ব্যাঙ্কনোট প্রিন্টিং প্রেস থেকে ৫০০ টাকার ব্যাঙ্কনোট উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে পেরেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। আরবিআই জানাচ্ছে এই রিপোর্ট সম্পূর্ণ ভুল।”
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে আরও জানানো হয়েছে, নোট ছাপানো, সংগ্রহ ও বন্টনের গোটা প্রক্রিয়াটি একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়ে হয়। এর একটি কড়া প্রোটোকল বা নিয়ম রয়েছে, তা সর্বদা পালন করা হয়।
Clarification on Banknote pic.twitter.com/PsATVk1hxw
— ReserveBankOfIndia (@RBI) June 17, 2023
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে এই বিভ্রান্তির সাফাই দিয়ে আরও জানানো হয়েছে যে আরবিআই নিয়মিত এই সংক্রান্ত নানা তথ্য প্রকাশ করে। তাই সাধারণ মানুষ যেন ব্যাঙ্কিং সংক্রান্ত তথ্যের জন্য রিজার্ভ ব্য়াঙ্কের উপরই ভরসা করেন।
জানা গিয়েছে, তথ্য অধিকার আইন বা আরটিআই-এর অধীনে অর্থ ভাণ্ডারে টাকার হিসাব সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন মনোরঞ্জন রায় নামক এক সমাজকর্মী। আরটিআই-র জবাবেই জানা যায়, নাসিকের ট্যাঁকশাল থেকে ৮৮১.০৬৫ কোটি নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট ছাপানো হয়েছিল। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়, ২০১৫ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আরবিআইয়ের হাতে আসে মাত্র ৭২৬ কোটির নোট। অর্থাৎ দেশের অর্থনীতি থেকে হারিয়ে গিয়েছে ৮৮,০৩২.৫ কোটি টাকা মূল্যের ১৭৬.০৬৫ কোটি ৫০০ টাকার নোট। এই নোটগুলি কোথায় গিয়েছে, সে সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। টাকার এই অসঙ্গতির তদন্ত করার জন্য সেন্ট্রাল ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো বা সিইআইবি এবং ইডি (ED)-কে চিঠিও লেখেন মনোরঞ্জন রায়।