AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Royal Enfield: এক ধাক্কায় ১৩ ব্যবসা বন্ধ! কীভাবে ঘুরে দাঁড়াল রয়্যাল এনফিল্ড?

Royal Enfield Motorcycle: ২০০০ সাল। একাধিক সমস্যায় সেই সময় জর্জরিত রয়্যাল এনফিল্ড। শুধু সমস্যায় জর্জরিত বললে হয়তো কমই বলা হবে, সেই সময় সংস্থাটি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল। সংস্থার বিক্রি পৌঁছে নেমেছিল একেবারে তলানিতে।

Royal Enfield: এক ধাক্কায় ১৩ ব্যবসা বন্ধ! কীভাবে ঘুরে দাঁড়াল রয়্যাল এনফিল্ড?
| Updated on: Oct 09, 2025 | 6:42 PM
Share

অলৌকিক ভাবে ঘুরে দাঁড়ানো বলতে ঠিক যা বোঝায়,। রয়্যাল এনফিল্ডের গল্পটা সাদা চোখে যেন অনেকটা ওই রকমই। তবে সত্যিই কি অলৌকিক? নাকি স্রেফ ব্যবয়ায়িক বুদ্ধির জোর? ঠিক কোন উপায়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল রয়্যাল এনফিল্ড?

২০০০ সাল। একাধিক সমস্যায় সেই সময় জর্জরিত রয়্যাল এনফিল্ড। শুধু সমস্যায় জর্জরিত বললে হয়তো কমই বলা হবে, সেই সময় সংস্থাটি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল। সংস্থার বিক্রি পৌঁছে নেমেছিল একেবারে তলানিতে। আর বাইক নিয়ে তো একাধিক অভিযোগ ছিলই, সেই সঙ্গে ছিল আদ্দিকালের প্রযুক্তি। সেই সময় রয়্যাল এনফিল্ডের প্যারেন্ট কোম্পানি আইখার মোটরস প্রায় সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিল যে, অনেক হয়েছে, এবার এই কোম্পানি বন্ধ করে দিলেই হয়।

সিদ্ধার্থের চাল!

এমনই এক টালমাটাল সময় রয়্যাল এনফিল্চেওহাল ধরেন সিদ্ধার্থ লাল। আর হাল ধরেই তিনি বুঝেছিলেন এই ধরনের বাইকের বাজার কেমন হতে পারে। আর তারপরই তিনি নিলেন সাহসী ও নির্মম কয়েকটি সিদ্ধান্ত। প্রথমেই তিনি আইখারের ১৫টি ব্যবসার মধ্যে একাধিক লোকসানে চলা ব্যবসা বন্ধ করে দেন। রেখে দেন ট্রাকের ব্যবসা ও রয়্যাল এনফিল্ড। বলা যায় এই সিদ্ধান্তই যেন ছিল এনফিল্ডের নবজন্ম।

সাফল্যের গল্প

রয়্যাল এনফিল্ডের ঠিক কোন কোন জায়গায় ভুল হচ্ছে তা জানতে তিনি সরাসরি এই এনিফিল্ড রাইডারদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের কী সমস্যা হচ্ছে জানেন তিনি। গ্রাহকদের সঙ্গে আলোচনা করেন কীভাবে আরও ভাল করা যায়। তারপর গাড়ির একাধিক বিষয় বদলে ফেলেন তিনি। প্রথমেই কাস্ট আয়রনের বদলে অ্যালুমিয়ামের ইঞ্জিন তৈরি করেন। আর এই ইঞ্জিনই অনেকাংশে বদলে দেয় গল্পটা। তারপর গাড়ির সার্ভিস সেন্টার ও শোরুমের ভোল বদলে ফেলার নির্দেশ দেন তিনি। এ ছাড়াও রাইডারদের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া সব ফিডব্যাকই তিনি গাড়ির খুঁত ঠিক করতে কাজে লাগান।

এই সবের ফলে, যে সংস্থা ২০০০ সালে মাত্র ২৪ হাজার ইউনিট বিক্রি করত, তা ২০২৪ সালে ৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৩৭৮ ইউনিটে পৌঁছে যায়।

সিদ্ধার্থ লালের এই সিদ্ধান্তের ফলে আজ রয়্যাল এনফিল্ড শুধুমাত্র মোটরবাইক সংস্থা নয়। বর্তমানে এটি একটি অ্যাডভেঞ্চার ও লাইফস্টাইল সিম্বল। আইখার মোটরসের লভ্যাংশের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে রয়্যাল এনিফল্ড থেকে।