নয়া দিল্লি: ছুটছে অর্থনীতির ঘোড়া। উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে ভারতের অর্থনীতি। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকেও ভারতের অর্থনীতি ৮.৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেল। এর আগের দুই ত্রৈমাসিকে অর্থনীতির বৃদ্ধি ছিল ৮ শতাংশ। অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে জিডিপির বৃদ্ধি ৭.৬ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই তথ্য উঠে এসেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার রিসার্চ ইকোর্যাপে।
স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধি বেড়ে ৭.৬ শতাংশ হতে পারে। জিভিএ বৃদ্ধি ৬.৯ শতাংশ হতে পারে। আগামী অর্থবর্ষে জিডিপির বৃদ্ধি ৮ শতাংশ হতে পারে বলেই অনুমান।
এসবিআই-র রিপোর্ট অনুযায়ী, মাসিক সিএলআই ইনডেক্সের তথ্য অনুসারে চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে অর্থনৈতিক গতিবিধিতে সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। এই কারণেই জিডিপির বৃদ্ধি সামান্য কম হতে পারে। শেষ ত্রৈমাসিকে জিডিপির বৃদ্ধি ৭.৬ শতাংশ হতে পারে।
২০২২-২৩ অর্থবর্ষের প্রতি ত্রৈমাসিকের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে, আগামী অর্থবর্ষের প্রথম ও দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৪০ ও ৪৪ বিপিএস বাড়তে পারে। বার্ষিক জিডিপি বৃদ্ধি ৮ শতাংশ হতে পারে।
এসবিআই-র রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ম্যানুফাকচারিং ও সার্ভিসের অধীনে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আর্থিক বৃদ্ধি হয়েছে। উৎপাদন বা ম্যানুফাকচারিংয়ে ১১.৬ শতাংশ, ইলেকট্রিসিটি, গ্যাস, জল সরবরাহ ও নির্মাণ ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। অন্যদিকে, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে কৃষিক্ষেত্রে আয় ০.৮ শতাংশ কমেছে।
এই প্রথমবার পার ক্যাপিটা জিডিপি ২ লক্ষ টাকার সীমা পার করেছে। সিএজিআরের বৃদ্ধি ৮.৯ শতাংশ হওয়ায়, পার ক্যাপিটা জিডিপি ১.২৪ লক্ষ টাকায় বেড়ে দাড়িয়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে পার ক্যাপিটা জিডিপি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিগত এক দশকের বিনিয়োগ ও সঞ্চয়ের তথ্য থেকেও দেখা গিয়েছে, সরকারের গ্রস ক্য়াপিটাল ফরমেশন ২০২৩ অর্থবর্ষে ৪.১ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ২০২০ অর্থবর্ষে ৩.৬ শতাংশ ছিল। একই সময়ে প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগও ১১ থেকে ১১.৯ শতাংশে বেড়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ও বেড়েছে করোনা পরবর্তী সময়ে। ২০২১ অর্থবর্ষে যেখানে পরিবারিক সঞ্চয়ের হার ১১ শতাংশ ছিল, তা ২০২৩ অর্থবর্ষে ১৫.৪ শতাংশে বেড়ে দাঁড়িয়েছে। স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণও যেখানে ২০২১ অর্থবর্ষে ১০.৮ শতাংশ ছিল, তা ২০২৩ অর্থবর্ষে তা বেড়ে ১২.৯ শতাংশে বেড়ে দাঁড়িয়েছে।